প্রতিদিন ডাকত’, সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে বললেন শুভেন্দু; পাল্টা খোঁচা বেচারামেরও
বেচারামের কথায়, "শুভেন্দু তো হতাশায় ভুগছেন। পাঁচ বছর আগে টিভিতে বক্তব্য রাখার সময় ওনার চোখ মুখ আর এখনকার চোখ মুখ দেখলেই বোঝা যাবে। ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হবেন ভেবেছিলেন, তা হওয়া হল না। উনি জীবনেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না, তাও বলে দিলাম।"
Suvendu Adhikari: 'প্রতিদিন ডাকত', সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে বললেন শুভেন্দু; পাল্টা খোঁচা বেচারামেরও
বেচারাম মান্না ও শুভেন্দু অধিকারী।
কলকাতা: যে সিঙ্গুর আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বঙ্গ রাজনীতির পট বদল, সেই আন্দোলনে মানুষের সমর্থন ছিল না বলেই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার হুগলির সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে বলতে শোনা গেল, তিনিও সে সময় এর বিরোধিতা করার সুযোগ পাননি। শুভেন্দুর দাবি, তিনি সেই আন্দোলন মঞ্চে যেতে চাননি। বারবার তাঁকে ডাকা হয়েছিল। একদিন গিয়ে ডেকরেটর্সের টাকা মিটিয়ে দিয়ে চলেও আসেন। যদিও শুভেন্দুর এই বক্তব্যকে তাঁর হতাশার বহিঃপ্রকাশ বলেই দাবি করেছেন সিঙ্গুর আন্দোলনের অন্যতম মুখ বর্তমানে সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্না। বরং বেচারামের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনে পাশে থাকার জন্যই বাংলার মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন শুভেন্দু। বেচারামের কথায়, “শুভেন্দু তো হতাশায় ভুগছেন। পাঁচ বছর আগে টিভিতে বক্তব্য রাখার সময় ওনার চোখ মুখ আর এখনকার চোখ মুখ দেখলেই বোঝা যাবে। ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হবেন ভেবেছিলেন, তা হওয়া হল না। উনি জীবনেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না, তাও বলে দিলাম।”
সোমবার সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সিঙ্গুর আন্দোলনে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না। বুদ্ধদেববাবুর উদারতা আর গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে টাটাদের ভাগিয়েছেন রাজ্যের নেত্রী। আমি তখন বিরোধিতা করার সুযোগ পাইনি। কিন্তু চকোলেট, স্যান্ডউইচ খাওয়া আন্দোলনে আমি যাইনি। একমাত্র আমিই যাইনি। রোজ ডাকত। আমি ডেকরেটর্সের টাকা মিটিয়ে চলে এসেছিলাম। ২০০৮ সালে রোজ বক্তব্য রাখতে ডাকতেন আমাকে। আমি একদিন এসেছিলাম। সামান্য বক্তব্য রেখে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ডেকরেটর্সকে দিয়েছিলাম। আমার পরিবার সমর্থন করেনি।”
যদিও শুভেন্দুর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্না বলেন, “এসব মিথ্যা কথা বলে লাভ নেই। মমতার আন্দোলনে না থাকলে শুভেন্দু অধিকারী যে শুভেন্দু অধিকারী হতে পারতেন না তা তো সকলেই দেখেছেন। আর মমতার কাছ থেকে সরে যাওয়ার পরই তো জনসমর্থন কমেছে। মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন। তাই মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।”
বেচারামের দাবি, “মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লোভে শুভেন্দু দলত্যাগ করেছেন। বিজেপিতে গিয়েছেন। যত দিন যাচ্ছে ওনার জনসমর্থনও শূন্যে এসে পৌঁছচ্ছে। বিজেপির মধ্যেই ওনাকে নিয়ে রোষ। তাই নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করার জন্য আর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে দেখাবার জন্য ও মাঝেমধ্যে এরকম চটকদারি মন্তব্য করেন। উনি বলেছেন সিঙ্গুরের মানুষ নাকি আন্দোলনে ছিলেন না। মানুষ না থাকলে সুপ্রিম কোর্ট এই আন্দোলনের উপর রায় দিত
Post A Comment:
0 comments so far,add yours