উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশের পরিযায়ী শ্রমিকরা। রবিবার সকাল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে।
সুড়ঙ্গের ভিতরে ৪০০ মিটার বাফার জোন তৈরি করা হয়েছে শ্রমিকদের হাঁটাচলা ও নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য।
সেকেন্ডে মাটি জমছে সিমেন্টে, ৪৮ ঘণ্টা পরও কীভাবে চলছে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ?
সুড়ঙ্গের ভিতরে চলছে উদ্ধারকাজ।
দেহরাদুন: ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে, এখনও উত্তরকাশীর (Uttarkashi) নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে আটকে ৪০ শ্রমিক। তাদের উদ্ধার করতে সবরকমের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গের মধ্যে প্রায় ২০০ মিটার চওড়া জায়গা ধস নেমেছিল। বড় বড় পাথর, বোল্ডার ভেঙে পড়ে পুরো অংশটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে সুড়ঙ্গের ভিতরে ধসে পড়া ওই পাথর কাটা হচ্ছে। পাথরের ও’প্রান্তেই আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা (Workers)। তাদের পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন ও পানীয় জল পাঠানো হচ্ছে।
এনডিআরএফের তরফে জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌছনোর জন্য ‘এসকেপ প্যাসেজ’ তৈরি করা হচ্ছে। সুড়ঙ্গের ভিতরে উদ্ধারকারী দলের থেকে প্রায় ৪০ মিটার দূরত্বেই আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা। এরমধ্যে পাথর কেটে ২১ মিটার রাস্তা সাফ করা হয়েছে। ১৯ মিটার পাথর কাটা এখনও বাকি।
জানা গিয়েছে, উদ্ধারকাজ শুরুর প্রথমে ৩০ মিটার চওড়া পাথর কেটে বেশ কিছুটা ভিতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন উদ্ধারকারী দল। কিন্তু সুড়ঙ্গের উপর থেকে মাটি ধসে পড়তেই ফের কিছুটা রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ঝুরো মাটি ধসে যাতে ফের বিপত্তি না হয়, সেই কারণে ‘শটক্রেটিং’ (Shotcreting) নামক এক বিশেষ পদ্ধতি ব্য়বহার করা হচ্ছে। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে কংক্রিট স্প্রে করা হয় এই পদ্ধতিতে। ফলে মাটি ধসে পড়ার সম্ভাবনা কমে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours