২০১৮ সালে শেষবার বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের ন্য়ূনতম মজুরি ধার্য করা হয়েছিল। সেই সময় মজুরি বাড়িয়ে ৮ হাজার টাকা করা হয়। এবার তা একধাক্কায় ৪ হাজার ৫০০ টাকা বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করা হল। অর্থাৎ একলাফে প্রায় ৫৬.২৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে।
ঢাকা: শিল্প ক্ষেত্রে অন্যান্য় দেশকে টেক্কা দিচ্ছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। তরতরিয়ে বাড়ছে নানা শিল্প। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে দ্রুত উপরের দিকে উঠে আসছে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের এই উন্নতির পিছনে অন্যতম কারণ হল সে দেশের বস্ত্রশিল্প (Textile Industry)। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্রান্ডের পোশাক তৈরি হয় বাংলাদেশে। কম খরচ ও বিপুল কর্মীর জোগানের জন্য লাভবান হয় পোশাক প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। এবার উৎপাদকদের পাশাপাশি শ্রমিকদেরও বিশেষ গুরুত্ব দিল হাসিনা সরকার। বাড়ানো হল শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি (Minimum Salary Hike)। বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মী-শ্রমিকদের বেতন ৫৬.২৫ শতাংশ বাড়াল বাংলাদেশ সরকার। মঙ্গলবার এই ঘোষণা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
জানা গিয়েছে, শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর লক্ষ্যে গঠিত মজুরি বোর্ডের ষষ্ঠ সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের ন্য়ূনতম বেতন ৮ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করা হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর মাস থেকেই এই নতুন মজুরি কার্যকর হবে। নতুন বছর, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে নতুন কাঠামোয় বেতন পাবেন শ্রমিকরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে শেষবার বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের ন্য়ূনতম মজুরি ধার্য করা হয়েছিল। সেই সময় মজুরি বাড়িয়ে ৮ হাজার টাকা করা হয়। এবার তা একধাক্কায় ৪ হাজার ৫০০ টাকা বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করা হল। অর্থাৎ একলাফে প্রায় ৫৬.২৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে।
মঙ্গলবার শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই আমরা পোশাক শ্রমিকের নূন্যতম মজুরি ঘোষণা করছি। তাদের ন্যূনতম মজুরি ৫৬.২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। শ্রমিকদের তরফে রেশনের দাবিও করা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়ার কথা বলেছেন। পরবর্তী সময়ে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা হবে।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours