এই পাইপের মধ্য দিয়ে আরও বেশি পরিমাণে খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করা যাবে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। গত রবিবার, ১২ নভেম্বর ভোরে এই নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গটির একটা অংশ ধসে গিয়েছিল। সেই থেকে গত আট দিন ধরে ওই ধসে যাওয়া সুড়ঙ্গেই আটকে আছেন ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে বাংলার ৩ জনও আছেন।
Uttarkashi Tunnel collapse: অবশেষে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছল পাইপ, সামনে চ্যালেঞ্জ আরও বড়
নতুন উদ্যোগে ড্রিলিংয়ের জন্য আমেরিকা থেকে আনা হয়েছে উন্নত মানের ড্রিলিং মেশিন
দেরাদুন: উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে ধসে যাওয়া সুড়ঙ্গ থেকে আটকে থাকা ৪১ শ্রমিককে উদ্ধারের কাজে বড় অগ্রগতি। সোমবার (২০ নভেম্বর), ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে একটি ছয় ইঞ্চি প্রশস্ত পাইপ ঢোকাতে সফল হলেন উদ্ধারকারীরা। এই পাইপের মধ্য দিয়ে আরও বেশি পরিমাণে খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করা যাবে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। গত রবিবার, ১২ নভেম্বর ভোরে এই নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গটির একটা অংশ ধসে গিয়েছিল। সেই থেকে গত আট দিন ধরে ওই ধসে যাওয়া সুড়ঙ্গেই আটকে আছেন ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে বাংলার ৩ জনও আছেন। গত আটদিনে বিভিন্ন উপায়ে তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু, প্রত্যেক চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। এই অবস্থায় রবিবার (১৯ নভেম্বর) থেকে নতুন করে উদ্ধার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এর আগে, ধ্বংসস্তূপের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে শুকনো ফল, শুকনো খাবার, ওষুধ এবং অক্সিজেনের মতো প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দিতে, ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে একটি চার ইঞ্চি প্রশস্ত পাইপ ঢোকানো হয়েছিল। এদিন যে পাইপটি ঢোকানো হল, সেটি আরও একটু বেশি চওড়া। ফলে, এই পাইপের মধ্য দিয়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে রুটি-তরকারি, ডালিয়া বা খিচুরির মতো রান্না করা খাবার পাঠানো যাবে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। তবে, তাদের যাতে কোনওভাবে পেট খারাপ না হয়, সেই দিকে নজর রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেই খাবার পাঠানো হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এইচআইডিসিএল ডিরেক্টর অংশু মনীশ কালখো এই পাইপ ঢোকানোকে ধ্বংসস্তূপ এলাকায় ‘প্রথম বড় সাফল্য’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা পাইপটি ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে ৫৩ মিটার ভিতরে পাঠিয়েছি। ওই পাইপের মধ্য দিয়ে আটকে পড়া শ্রমিকরা আমাদের কথা শুনতে পাবেন।” এমনকি, মোবাইল ফোন এবং চার্জারও পাঠানো হবে ওই পাইপের মধ্য দিয়ে।
উল্লম্বভাবে ড্রিলিংয়ের প্রস্তুতি চলছে
এর আগে এই ছয় ইঞ্চি প্রশ্স্ত পাইপটি ঢোকাতে দিয়ে দুবার ব্যর্থ হয়েছিলেন উদ্ধারকারীরা। একটি বড় পাথরে বারবার আটকে যাচ্ছিল পাইপটি। এদিন সেই পাইপ প্রবেশ করানোর সাফল্য আসলেও, সামনে চ্যালেঞ্জ অনেক বড়। অংশু মনীশ কালখো জানিয়েছেন, দুটি ভিন্ন জায়গায় উল্লম্বভাবে ড্রিল করা হবে, এর পাশাপাশি আরও দুটি জায়গায় অনুভূমিকভাবে ড্রিল করা হবে। তবে তিনি জানিয়েছেন, সিল্কিয়ার দিকের সুড়ঙ্গটি অত্যন্ত দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। বেশি চাপ পড়লে আবার ধস নামতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, সেই ঝুঁকির কথা মাথায় রেখেই কাজ করা হচ্ছে। ছয় ইঞ্চি পাইপটি ঢোকানোর পরই, সুড়ঙ্গে একটি মার্কিন অগার মেশিন দিয়ে অনুভূমিকভাবে ড্রিলিং করা শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রতিকূল আবহাওয়াতেও যাতে সড়ক পথে চারধাম যাত্রায় যেতে পারেন ভক্তরা, সেই কথা মাথায় রেখে উত্তরাখণ্ডে একটি বড় সড়ক প্রকল্পের কাজে হাত দিয়েছে মোদী সরকার। উত্তরকাশী জেলার সিল্কিয়ারা গ্রামে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গটি সেই প্রকল্পেরই অন্যতম অংশ। ১২ নভেম্বর ওই এলাকায় বড় মাপের ধস নেমেছিল। ধসের জেরেই সুড়ঙ্গটির মুখ থেকে ২০০ মিটার ভিতরে একটা বড় অংশ ভেঙে পড়ে। আর আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। তাদের উদ্ধার করতে এখনও বেশ কয়েকদিন লাগবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours