পিচ তো ঢাকা! শুক্রবার কলকাতায় পৌঁছে টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা হোটেলে গেলেও হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় তাঁর সহকারিদের নিয়ে ইডেনে চলে আসেন। বেশ কিছুক্ষণ পিচ পরীক্ষা করেন। দ্রাবিড়রা ইডেন ছাড়তে বৃষ্টি নেমেছিল। খুব বেশি না হলেও ঝুঁকি নেওয়ার প্রশ্নই নেই। সেই যে পিচে কভার দেওয়া হয়েছে, এ দিন বিকেল ৪টে নাগাদ তা তোলা হল। আর কভার তুলতেই পিচ দেখতে ছুটলেন প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা।
কলকাতা: ইডেনে জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে দক্ষিণ আফ্রিকার। পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেক বেশি উত্তেজিত ছিলেন সম্ভবত। অনুশীলন শুরুর কথা ছিল দুপুর ২টোয়। তার ঢের আগে ইডেনে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। কিন্তু পিচ তো ঢাকা! শুক্রবার কলকাতায় পৌঁছে টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা হোটেলে গেলেও হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় তাঁর সহকারিদের নিয়ে ইডেনে চলে আসেন। বেশ কিছুক্ষণ পিচ পরীক্ষা করেন। দ্রাবিড়রা ইডেন ছাড়তে বৃষ্টি নেমেছিল। খুব বেশি না হলেও ঝুঁকি নেওয়ার প্রশ্নই নেই। সেই যে পিচে কভার দেওয়া হয়েছে, এ দিন বিকেল ৪টে নাগাদ তা তোলা হল। আর কভার তুলতেই পিচ দেখতে ছুটলেন প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা। এক দিকে ঐতিহ্যের ইডেন এবং হাজারো সমর্থক, সামনে টানা সাত ম্যাচ জেতা ভারত। কে সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ? প্রোটিয়া অধিনায়ক তেম্বা বাভুমাকে ধাঁধায় ফেলল এই প্রশ্ন। বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।
ইডেনের টিকিট নিয়ে উত্তাল পরিস্থিতি। তারপরও আশা করা হচ্ছে, রবিবারে ইডেন ভর্তি থাকবে। প্রায় ৬৭ হাজারের গ্যালারি থেকে এক সঙ্গে টিম ইন্ডিয়ার জয়ধ্বনি উঠলে যে কোনও প্রতিপক্ষর কাছেই কঠিন পরিস্থিতি। প্রোটিয়া অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা বলছেন, ‘দলের মধ্যে একটা রোমাঞ্চ কাজ করছে। বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট। ঐতিহ্যের ইডেন গার্ডেন্সে ম্যাচ। এই মাঠের অনেক অনেক ইতিহাস রয়েছে। রোমাঞ্চ থাকাটাই স্বাভাবিক। এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, ম্যাচটা ভারতের বিরুদ্ধে। দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া। আমরাও ছন্দে রয়েছি। ভারতের বিরুদ্ধে নিজেদের পরীক্ষা করার সুযোগ পাব।’
প্রোটিয়া ব্যাটিং আক্রমণ বিধ্বংসী ফর্মে রয়েছে। কুইন্টন ডি’কক, হেনরিখ ক্লাসেন, এইডেন মার্কর্যাম, রাসি ভ্যান ডার ডুসেনরা দুর্দান্ত ব্য়াটিং করছেন। কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নামা কুইন্টন ইতিমধ্যেই চারটি সেঞ্চুরি করেছে। তবে অধিনায়ক খোদ রানের মধ্যে নেই। নিঃসন্দেহে যা চিন্তার। প্রোটিয়া অধিনায়ক বলছেন, ‘প্রত্যেকেই চায় বড় অবদান রাখতে। দলের বাকিরা বিধ্বংসী ব্যাটিং করছে। আমি বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ জুটিতে অবদান রাখতে পেরেছি, এটা ভেবেও কিছুটা স্বস্তিতে। আশাকরি বড় রানের খরা কাটবে আমার ব্য়াটে।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সংবাদমাধ্যম অবশ্য প্রশ্নবানে জর্জরিত করল তেম্বা বাভুমাকে। কিছু ক্ষেত্রে চুপ থাকাই শ্রেয় মনে হল তাঁর। জবাবটা ব্যাটেই দিতে হবে। এ বছর বাভুমার ফর্ম যথেষ্ঠ ভালো ছিল। যদিও বিশ্বকাপের মঞ্চে সেই ফর্মের আঁচ দেখা যায়নি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours