যুদ্ধের একমাস পর ইজরায়েল সেনা কার্যত গাজার দখল নিতেই বন্দিদের মুক্তির প্রস্তাব দিল হামাস। টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে হামাসের আল কাশেম ব্রিগেড জানান, তারা ৭০ জন মহিলা ও শিশুকে মুক্তি দিতে রাজি। তার জন্য ইজরায়েলকে একটা শর্ত পূরণ করতে হবে। ৫ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে।

 ইজরায়েল এই শর্ত মানলেই ৭০ বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস...
গাজায় পণবন্দিরা।

গাজা সিটি: দিন -প্রতিদিন আরও জটিল হচ্ছে ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধ। গাজা কার্যত এখন ইজরায়েলের (Israel) দখলেই। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও পিছু হটল হামাস (Hamas)। পণবন্দিদের মুক্তির প্রস্তাব দিল হামাস বাহিনী, তবে এর জন্য শর্তও রয়েছে। তাদের দাবি, যদি ইজরায়েল ৫ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে, তবে ৭০ জন মহিলা ও শিশুকে মুক্তি দেওয়া হবে।


যুদ্ধের শুরুতেই, গত অক্টোবর মাসে প্রায় ২৫০ জন ইজরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকদের পণবন্দি করে নেয় হামাস। ইজরায়েলের তরফে একাধিকবার এই বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হলেও, তাতে গুরুত্ব দেয়নি হামাস। পরে অবশ্য যুদ্ধে বেকায়দায় পড়তেই দুই-একজন করে বিদেশি নাগরিকদের মুক্তি দেয় হামাস। ইজরায়েলের দাবি, হামাসের হাতে বন্দি ২৫০ জনের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা ও শিশু। তাদের গাজা স্ট্রিপের নীচে গোপন সুড়ঙ্গে আটকে রাখা হয়েছে। ইজরায়েল সেনা হামলা চালালেই মানবঢাল হিসাবে ওই পণবন্দিদের ব্যবহার করবে হামাস।

যুদ্ধের একমাস পর ইজরায়েল সেনা কার্যত গাজার দখল নিতেই বন্দিদের মুক্তির প্রস্তাব দিল হামাস। টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে হামাসের আল কাশেম ব্রিগেড জানান, তারা ৭০ জন মহিলা ও শিশুকে মুক্তি দিতে রাজি। তার জন্য ইজরায়েলকে একটা শর্ত পূরণ করতে হবে। ৫ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। ওই সময়ে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ ও বিলি করতে দিতে হবে বিনা বাধায়।


আল কাশেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবেইদা জানান, ইজরায়েল ১০০ জন বন্দিকে মুক্তির দাবি জানালেও, তারা ৫০ জন বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি। এই সংখ্যাটা সর্বাধিক ৭০ জন হতে পারে।

অন্যদিকে, যুদ্ধ যত বাড়ছে, ততই সঙ্গীন হচ্ছে গাজার সবথেকে বড় হাসপাতাল আল-শিফার অবস্থা। জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় অন্ধকারে ডুবে হাসপাতাল। স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি, বিদ্যুৎ ও ওষুধের অভাবে ৩ নবজাতক সহ ৩২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এক ডজনেরও বেশি শিশুর প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও গাজা স্ট্রিপে হাসপাতালের উপরে যাতে কোনও হামলা না হয়, তার দাবি জানিয়েছেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours