বৃহস্পতিবার সকালে ঘর থেকে গৃহবধূ প্রতিমা মন্ডলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রাতেই স্বামী অরুন মন্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ।
মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে বাগডাঙ্গার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ এ, ৩০২, ৩০৪ বি ধারা ও ৩,৪ ডি,পি আইনে মামলা রুজু করে শুক্রবার তাকে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পাঠানো হলে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ থেকে বছর চারেক আগে মৌসুনি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগডাঙ্গা বাহিরপাড়ার বাসিন্দা অরুন মন্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় কুসুমতলার বাসিন্দা প্রতিমা দাসের। প্রতিমার বাবা ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। মা অসুস্থ। গলব্লাডার স্টোন অপারেশনের ফলে বর্তমানে ডায়মন্ড হারবারে একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। বাড়িতে থাকতো এক বোন ও এক ভাই। অরুণ আগে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতো। তাদের একটি পুত্র সন্তান আছে। অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে একটা অশান্তি চলছিল। প্রায়শ প্রতিমাকে মারধর করত স্বামী অরুণ। গতকাল মারধর করার ফলে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাপের বাড়ি কুসুমতলায় চলে আসে প্রতিমা। সন্ধ্যায় কুসুমতলার শ্বশুরবাড়িতে আসে অরুণ। স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাতে প্রতিমা রাজি না হওয়ায় রাত সাড়ে নটা নাগাদ ছেলেকে নিয়ে বাড়ি চলে যায় অরুণ। ছেলেকে বাড়িতে রেখে রাত আনুমানিক সাড়ে দশটা নাগাদ আবার শ্বশুরবাড়িতে আসে অরুণ। ততক্ষণে প্রতিমার ভাই ও বোন ঘুমিয়ে পড়েছে। এদিন সকালে ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস জড়িয়ে প্রতিমার দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। পরিবারের পক্ষ থেকে সন্ধ্যায় ফ্রেজারগঞ্জ সন্ধ্যায় কোস্টাল থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই বাগডাঙ্গা এলাকা থেকে স্বামী অরুন মন্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours