ভারতের ফাইনালে ওঠার পথে অন্যতম কারিগর মহম্মদ সামি। মাত্র ছ'টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। তাতেই নিয়েছেন ২৩টি উইকেট! সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাইভোল্টেজ ম্যাচে একাই সাত উইকেট।
নকআউটের ম্যাচে এত্তগুলো উইকেট নেওয়া কোনও ভাবেই সহজ কাজ নয়। অথচ সামিকে দেখে মনে হচ্ছে, যে কোনও ডেলিভারিতেই উইকেট পেতে পারেন। এর কারণও আছে।
৬ ম্যাচেই ২৩ উইকেট! সাফল্যের মন্ত্র জানালেন সামি
আমেদাবাদ: বিশ্বকাপের মঞ্চে সামিকে যেন আলাদা মেজাজে পাওয়া যায়। এই নিয়ে তৃতীয় ওডিআই বিশ্বকাপ খেলছেন ভারতের তারকা পেসার মহম্মদ সামি। বিশ্বকাপে ভারতের সবচেয়ে সফল বোলার সামি। তেইশের বিশ্বকাপের আগে অবধি তাঁর সব উইকেটই ছিল বোল্ড কিংবা ক্যাচে। এই বিশ্বকাপে হাতে গোনা উইকেট এসেছে লেগ বিফোরে। বাকি সবই বোল্ড কিংবা ক্যাচ। শুরুর দিকে একাদশে জায়গাই পাচ্ছিলেন না। ফিরেই একের পর এক চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স। এর রহস্য কী? খোলসা করলেন মহম্মদ সামি। বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।
ভারতের ফাইনালে ওঠার পথে অন্যতম কারিগর মহম্মদ সামি। মাত্র ছ’টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। তাতেই নিয়েছেন ২৩টি উইকেট! সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাইভোল্টেজ ম্যাচে একাই সাত উইকেট। নকআউটের ম্যাচে এত্তগুলো উইকেট নেওয়া কোনও ভাবেই সহজ কাজ নয়। অথচ সামিকে দেখে মনে হচ্ছে, যে কোনও ডেলিভারিতেই উইকেট পেতে পারেন। এর কারণও আছে।
বিশ্বকাপের মঞ্চে উইকেটের নিরিখে হাফসেঞ্চুরি পেরিয়ে গিয়েছেন সামি। সাফল্যের রহস্য প্রসঙ্গে সম্প্রচারকারী চ্যানেলকে বলেছেন, ‘আমি প্রথমে দেখে নিই পরিস্থিতি কী রয়েছে, পিচ কেমন আচরণ করছে, সুইং হচ্ছে কিনা। যদি সুইং না হয়, চেষ্টা থাকে উইকেট সোজা বল রাখার। এমন একটা জায়গায় বল রাখার চেষ্টা করি, ব্যাটাররা ড্রাইভ করতে গেলে ব্যাটের কানায় লাগতে পারে।’
ওয়াংখেড়েতে সেমিফাইনাল ম্যাচটাই ধরা যাক। এই মাঠকে ব্যাটিং প্যারাডাইস বলা হয়। প্রচুর রান হয়। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩৯৭ রানের বিশাল স্কোর গড়ে ভারত। নিউজিল্যান্ডও রান তাড়ায় দারুণ ব্যাট করছিল। পার্থক্য গড়ে দেন মহম্মদ সামি। যে লাইন লেন্থে বোলিং করেন, তাতে ডিফেন্স করলেও বিপদ আবার শট খেললেও।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours