বিধাননগর পুলিশের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বেআইনিভাবে বাজি কেনা-বেচা করা হলে অতিরিক্তভাবে ১৮৮ ধারায় অর্থাৎ, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ না মানার জন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধারা যুক্ত করা হতে পারে।

Kali Puja: এই সময়ের বাইরে বাজি ফাটালে খেতে হতে পারে 'মামার বাড়ির ভাত'
প্রতীকী ছবি

কলকাতা: সবুজ বাজি না কিনলে, কিংবা বেঁধে দেওয়া সময়সীমার বাইরে বাজি ফাটালে কড়া পদক্ষেপ করবে পুলিশ। বাজি ফাটানোর ক্ষেত্রে সময়সীমা রয়েছে রাত ৮টা থেকে ১০টা। এর বাইরে অন্য সময়ে বাজি ফাটালে ফ্যাসাদে পড়তে হতে পারে। এমনকী বাজি ফাটানোর ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম না মানলে হতে পারে জেলও। লোকমুখে প্রচলিত, থানাকে অনেকেই মজার ছলে ‘মামাবাড়ি’ বলে থাকেন। তাই সাবধান হয়ে যান এখনই। নির্ধারিত সময়ের বাইরে বাজি ফাটালে খেতে হতে পারে ‘মামার বাড়ির ভাত’।


পুলিশ অভিযুক্তদের গোটা রাত থানায় রেখে পরের দিন আদালতে জামিনের জন্য নিয়ে যেতে পারে। বিধাননগর পুলিশের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বেআইনিভাবে বাজি কেনা-বেচা করা হলে অতিরিক্তভাবে ১৮৮ ধারায় অর্থাৎ, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ না মানার জন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধারা যুক্ত করা হতে পারে।

তবে পরিবেশবিদরা অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন পুলিশি নজরদারি নিয়ে। গতকাল পরিবেশবিদদের একাংশ সাংবাদিক বৈঠকও করেছেন কলকাতায়। তাঁদের অভিযোগ, সবুজ বাজি বিক্রির নামে আড়ালে-আবডালে বেআইনি বাজিরও ব্যবসা চলছে। সবুজ বাজির ক্ষেত্রে বলে দেওয়া হয়েছে কিউআর কোড থাকতে হবে। কিন্তু সেই কিউআর কোড অনেকক্ষেত্রেই নকল বলে অভিযোগ পরিবেশবিদদের একাংশের। এসব বন্ধ করতে পুলিশের তরফে নজরদারি কোথায়? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।


যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের কড়া নজরদারির ফলে ইতিমধ্যেই প্রায় দু’হাজার কেজি বেআইনি বাজি উদ্ধার করা হয়েছে এবং সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উৎসবের মরশুমে বেআইনি বাজির কারবার বন্ধ করতে সজাগ দৃষ্ট রাখছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার অফিসাররা কয়েকদিন আগেই এক বড় সাফল্য পেয়েছিলেন। প্রায় ৯৬০ কেজি বেআইনি বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours