এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "গতকাল মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা হল। পশ্চিম এশিয়ায় যেভাবে মানবিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবনতি হচ্ছে, তা নিয়ে আমরা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি আদান-প্রদান করেছি।"

PM Modi-Egypt President: 'এই যুদ্ধের শেষ কোথায়?' মিশরের প্রেসিডেন্টকে ফোন উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী মোদীর
ফাইল চিত্র

নয়া দিল্লি: সময় যত এগোচ্ছে, ততই জটিল হচ্ছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধ ২৩ দিন পার করল। হামাসের আক্রমণের পাল্টা জবাব দিতে গাজায় লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলের সেনা। যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের পড়শি দেশগুলির ওপরও। এই যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেই এবার মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফতেহ এল-সিসি-র সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুই রাষ্ট্রনেতা পশ্চিম এশিয়ায় ক্রমাগত খারাপ থেকে খারাপতর হয়ে চলে সুরক্ষা অবস্থা ও মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদ, হিংসা ও নিরাপরাধ নাগরিকদের মৃত্যু নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী ও মিশরের প্রেসিডেন্ট।


জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফতেহ এল সিসির সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধের জেরে আট হাজারেরও বেশি নাগরিকের মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা। যুদ্ধে প্রভাবিতদের কাছে দ্রুত ত্রাণ সরবরাহ করা এবং দ্রুত শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়েও কথা বলেন তাঁরা।

এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “গতকাল মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা হল। পশ্চিম এশিয়ায় যেভাবে মানবিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবনতি হচ্ছে, তা নিয়ে আমরা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি আদান-প্রদান করেছি। দ্রুত ওই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরানো এবং ত্রাণ মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আমরা দুইজনই সহমত পোষণ করেছি।”

অন্যদিকে, মিশরের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্রও জানান যে গাজা স্ট্রিপে ইজরায়েলি সেনার সামরিক অভিযানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও দুই রাষ্ট্রপ্রধান আলোচনা করেন। ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়েছে, “মিশরে প্রেসিডেন্টকে ফোন করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুই রাষ্ট্রনেতা গাজা স্ট্রিপে ইজরায়েলি সেনার অভিযান এবং বর্তমান পরিস্থিতি জারি থাকলে কী বিপদ হতে পারে, সাধারণ নাগরিকদের জীবনে যুদ্ধের প্রভাব ও নিরাপত্তায় এটি কী ঝুঁকি তৈরি করছে, তা নিয়ে আলোচনা করেন।”
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের উপরে মিসাইল হামলা চালায় হামাস। ওই হামলায় কমপক্ষে ১৪০০ নাগরিকের মৃত্য়ু হয়। পাল্টা জবাবে গাজায় আক্রমণ করছে ইজরায়েলি সেনা। সেই হামলায় কমপক্ষে ৮ হাজার নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে অর্ধেকই শিশু।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours