জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ যান ওই গ্রামে। দুপুরে ২টো পর্যন্ত সেখানে ছিলেন তিনি। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। গ্রাম থেকে সরাসরি তিনি আসেন মগরাহাট থানায়। 


সে সময় থানায় উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয় মণ্ডল। তাঁর সঙ্গে ঘটনার পাশাপাশি মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেন চেয়ারম্যান সহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
Magrahat: মগরাহাটে যৌন নির্যাতন কাণ্ডে ওসি, আইসি-কে ক্লোজ করার প্রস্তাব তফশিলি কমিশনের
নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গ্রামে কমিশনের প্রতিনিধিরা

মগরাহাট: নাবালিকার যৌন হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে দিন কয়েক আগেই উত্তপ্ত হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থানার একটি গ্রাম। যৌন হেনস্থা ঘিরে অভিযুক্তের আত্মীয়ের বাড়ি ভাঙচুর এবং পরে নির্যাতিতার বাড়িতেও ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন যৌন নিগ্রহের ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছিল সেখানে। ডায়মন্ড হারবার থেকে জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ছুটে এসেছিলেন। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। সেই ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট দেবে জাতীয় তফশিলি কমিশন। ওই কাণ্ডে মগরাহাট থানার ওসি আসদুল শেখ এবং সিআই সুবীর বাগকে ক্লোজ করা সুপারিশ করবেন বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে এ নিয়ে রিপোর্ট পাঠাবেন।

জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ যান ওই গ্রামে। দুপুরে ২টো পর্যন্ত সেখানে ছিলেন তিনি। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। গ্রাম থেকে সরাসরি তিনি আসেন মগরাহাট থানায়। সে সময় থানায় উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয় মণ্ডল। তাঁর সঙ্গে ঘটনার পাশাপাশি মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেন চেয়ারম্যান সহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এর পর বিকাল ৩টে নাগাদ মগরাহাট ছেড়ে বেরিয়ে যান কমিশনের প্রতিনিধিরা।

মগরাহাট থানার দুই অফিসারকে ক্লোজ করার প্রসঙ্গ কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন, “এই ঘটনা এখানে ঘটেছে তা ভাবতেই লজ্জা লাগছে। পরিস্থতি এমন পৌঁছেছে যাতে কমিশনকে এখানে আসতে হল। যে অভিযোগ আমরা পাচ্ছিলাম, তা এখানে এসে গ্রামবাসীদের কথায় প্রমাণিত হয়ে গেল। পুলিশ নির্যাতিতার পরিবারকে ম্যানেজ করে অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। তবে আমাদের সামনে ঘটনার কথা স্বীকার করেছে নির্যাতিতার পরিবার। পুলিশের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। আমি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বলেছি, আমরা চলে যাওয়ার পর যেন কোনও অপ্রীতিকর অবস্থা তৈরি না হয়। এর পাশাপাশি ওসি এবং আইসি-কে যত দ্রুত সম্ভব ক্লোজ করা উচিত। নাহলে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে না। আমার ডিজি এবং মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট পাঠাব। তাঁরা ব্যবস্থা না নিলে রাষ্ট্রপতির কাছে যাব।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours