বারুইপুর থানার শিখরবালি দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দ্রপালা গ্রামের রবীন মণ্ডল ও অঞ্জলি মণ্ডল। বছর কুড়ি আগে বিয়ে হয় দু'জনের। রবীন পেশায় মদ ব্যবসায়ী। অভিযোগ, জুয়াও খেলতেন তিনি। মদ খেয়ে নিত্যদিন বাড়ি ফিরতেন বলে অশান্তি লেগেই থাকত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে।

Baruipur Murder: স্ত্রীকে মেঝেতে পুঁতে তার উপরের মদের আসর, কানের দুলই ফাঁস করল স্বামীর কীর্তি
অঞ্জলী মণ্ডল

বারুইপুর: বারুইপুরে স্ত্রীকে খুন করে মেঝেতে পুঁতে দেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল পুলিশ। মৃতের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পুলিশ জানতে পারত গুণধর জামাইয়ের কীর্তি। মহিলাকে খুনের পর পুঁতে দিয়ে মদের আসর বসিয়েছিল অভিযুক্ত স্বামী রবীন মণ্ডল। ঠান্ডা মাথায় পরিপাটি করেই বন্ধুদের সঙ্গে মদ খাচ্ছিলেন তিনি। তবে একটি ছোট্ট ভুলের কারণে সমস্ত কারসাজি টের পেয়ে যান মৃতের মা। তারপরই থানায় খবর যায়। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের পাশাপাশি ফাঁসির দাবি জানায় তাঁর পরিবার।


বারুইপুর থানার শিখরবালি দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দ্রপালা গ্রামের রবীন মণ্ডল ও অঞ্জলি মণ্ডল। বছর কুড়ি আগে বিয়ে হয় দু’জনের। রবীন পেশায় মদ ব্যবসায়ী। অভিযোগ, জুয়াও খেলতেন তিনি। মদ খেয়ে নিত্যদিন বাড়ি ফিরতেন বলে অশান্তি লেগেই থাকত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। এই অশান্তি থেকে সন্তানদের দূরে রাখতে দুই ছেলেকে অঞ্জলি পাঠিয়ে দেন তাঁদের মামার বাড়িতে।

মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, দশমীর দিন অঞ্জলীকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার কথা ছিল রবীনের। কিন্তু সেই দিনও অশান্তি হয়। অভিযোগ, তখনই অঞ্জলীকে খুন করে ছাগল থাকার ঘরের মেঝেতে পুঁতে দেয় তাঁকে। তবে একদিন কাটলেও মেয়ের খোঁজ না মেলায় সন্দেহ হয় অঞ্জলীর মা কালী নস্কর।

এরপর একাদশীর দিন মেয়ের বাড়ি গিয়ে দেখেন অঞ্জলী নেই কোথাও। জামাই ওই ছাগল রাখার ঘরের বারান্দায় বসে মদ খাচ্ছে বন্ধুদের সঙ্গে। কালী নস্করের দাবি, মেয়ে কোথায় জানতে চাইলে বারে বারে বিভ্রান্ত করেন রবীন। এরপরের দিন আবারও মৃতের পরিবার তাঁদের মেয়ের খোঁজে শ্বশুরবাড়ি যায়। ছাগল ঘরের চাবি চায় রবীনের কাছে। সেই চাবি দিয়েই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।

কিন্তু সব পরিকল্পনায় ভেস্তে যায় দম্পতির শোয়ার ঘরের মধ্যে পাওয়া অঞ্জলির কানের একটি দুল যা পুজোর সময় তাঁর মা কালী নস্কর কিনে দিয়েছিল মেয়েকে। আর সেই কানের দুলই ঘটনার মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়।

শনিবার শোয়ার ঘরে ঠিক পাশে থাকা ছাগল ঘরের তালার চাবি রবিনের কাছ থেকে নিয়ে তন্ন তন্ন করে খোঁজার সময় দেখা যায়। মেঝের মাটি খোলা। আর সেই মাটির উপরেই কাঠ। ডালপালা বিছানো। ডালপালা সরাতেই কটু গন্ধ নাকে ঠেকে। পরে সেখান থেকেই মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয়েছে অঞ্জলির নিথর দেহ। শরীরে রয়েছে আঘাতের চিহ্ন।যদিও ততক্ষণে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় রবীন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours