প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে দুর্গা আরাধনায় ব্রতী হলেন মৌশুনী দ্বীপের দশভূজারা। দুর্গা পূজাকে ঘিরে এই মুহূর্তে তাদের প্রস্তুতি একেবারেই তুঙ্গে।


সুন্দরবনের বুকে যখনই কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা দেয় তখন সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই মৌসুনি দ্বীপ। নদী বাঁধের ভাঙন বারে বারে তাদের কে বেঘর করেছে । তাই এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে দেবী দুর্গার আরাধনায় ব্রতী হলেন মৌসুনি দ্বীপের বালিয়াড়ার দশভূজারা।
একসময় এই দ্বীপের আয়তন ছিল প্রায় ১০০ বর্গ কিলোমিটার। ভাঙ্গনের আতঙ্কে আগেই দীপ ছেড়েছেন বহু বাসিন্দা। দ্বীপে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যাটা এখন মেরে কেটে ৫ হাজারের আশেপাশে। বর্তমানে এই দ্বীপের আয়তন কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭০ বর্গ কিলোমিটারে। এই দ্বীপকে ঘিরে রেখেছে বটতলা নদী, চিনাই নদী ও বঙ্গোপসাগর সমুদ্র। 
হোমস্টে টুরিজমের জামানায় বিগত বছর পাঁচেক ধরে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল সুন্দরবনের মৌসুনি দ্বীপ। বুলবুল, আমফান ও ইয়াশে সুন্দরবনের ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপ গুলোর মধ্যে অন্যতম এই মৌসুনি দ্বীপ। ইয়াসের পর থেকে এই দ্বীপের নদী ও সমুদ্রের বাঁধ আরো বেহাল হয়ে পড়েছে। তারপর থেকে বাঁধ ভাঙার আতঙ্ক কখনোই পিছু ছাড়েনি দ্বীপের বাসিন্দাদের। তাই এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে এবং বাঁধ ভাঙনের হাত থেকে মুক্তি পেতে দেবী দুর্গার আরাধনায় ব্রতী হলেন মৌসুনি দ্বীপের বালিয়াড়ার বেশ কয়েকটি পরিবারের গৃহ বধুরা। মৌসুনির বালিয়াড়ার বাসিন্দা ২৪ জন গৃহবধূ মিলে দুর্গাপূজা আরাধনার উদ্যোগ নিয়েছেন। দুর্গাপূজাকে ঘিরে প্রস্তুতি একেবারেই তুঙ্গে। একদিকে যেমন চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ ঠিক তেমনি অন্যদিকে চলছে মন্ডপ সজ্জার প্রস্তুতি। 
উদ্যোক্তা কমিটির ২৪ জন মহিলা সদস্যা গত মাসখানেক ধরে কোনোক্রমে বাড়ির সমস্ত কাজ সামলে বেরিয়ে পড়েন গ্রামে। পৌঁছে যান গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে। এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা পুজোর জন্য সংগ্রহ করছেন চাল, ডাল, আলু থেকে শুরু করে অর্থ। এই পুজো কে ঘিরে মেতে উঠবে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষজনেরা।



Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours