বৃহস্পতিবার সকালে যখন ইডি আধিকারিকরা দুয়ারে, তখন পুরীতে মা-ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে জগন্নাথ দর্শনে অমিত। নাগেরবাজারে তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে অমিত দে'র। সেই তিনটি ফ্ল্যাটেই একযোগে হানা দেন তদন্তকারীরা
Ration Scam: বাড়ির বাইরে অপেক্ষায় ইডি, স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে পুরীর সমুদ্রস্নানে জ্যোতিপ্রিয়র আপ্ত সহায়ক!
কলকাতা: রেশন দুর্নীতিতে লক্ষ্মীবারে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ি-সহ ১২ টি জায়গায় এক যোগে তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তল্লাশি চলছে মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ত অমিত দে’র বাড়িতেও। জানা যাচ্ছে, জ্যোতিপ্রিয় খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ওই দফতরে গ্রুপ সি পদে চাকরিতে যোগ দেন অমিত দে। তারপর তিনি মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক হয়ে ওঠেন। ধীরে ধীরে একেবারে মন্ত্রীর ছায়াসঙ্গী হয়ে ওঠেন। এরপর মন্ত্রীত্বে রদবদল। খাদ্য দফতর থেকে বন দফতরের দায়িত্বে যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। অর্থাৎ তিনি বনমন্ত্রী হন। তখন অমিত দে ডেপুটেশনে বন দফতরে যান। এই অমিতের বাড়িতেও সকালে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, রেশন দুর্নীতিতে তাঁর একটি বড় যোগের প্রমাণ হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তার ভিত্তিতেই তল্লাশি।
বৃহস্পতিবার সকালে যখন ইডি আধিকারিকরা দুয়ারে, তখন পুরীতে মা-ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে জগন্নাথ দর্শনে অমিত। নাগেরবাজারে তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে অমিত দে’র। সেই তিনটি ফ্ল্যাটেই একযোগে হানা দেন তদন্তকারীরা। কিন্তু তাঁরা ফ্ল্যাটে ঢুকতে পারেননি। কারণ অমিত পুরীতে। ফ্ল্যাটের দরজায় তালা। ২০১১ সালে যখন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ওই দফতরে গ্রুপ সি পদে ঢোকেন। কিন্তু বর্তমানে বিপুল সম্পত্তির মালিক অমিত। কীভাবে গ্রুপ সি পদে চাকরি করে এত সম্পত্তি, তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারাই জানাচ্ছেন, বছর সাতেক আগেই অমিতের জীবনযাত্রায় এই বিলাসিত ছিল না, যা গত কয়েক বছরে হয়েছে। বর্তমানে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন অমিত। এমনকি করোনার সময়েও এলাকার বাসিন্দাদের বিনামূল্যে খাবার বিলি করেছিলেন। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, সেটি প্রশসংনীয় হলেও, সকলের মনে এটাই প্রশ্ন উঠেছিল, স্বল্প বেতনের চাকরিতেও কীভাবে তা করতে পারেন অমিত? অমিতের জীবনযাত্রায় মানোন্নয়ন কীভাবে, কীভাবে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠলেন তিনি, সে সবই খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours