ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পেশায় চিকিৎসক এক ব্যক্তি। রাজ্যের পুরপ্রশাসন ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ বলে দাবি করেছেন তিনি। পঞ্চায়েতগুলির ক্ষেত্রেও তথৈব চ দশা। যদিও নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, প্রশাসন সবসময় জাগরূক।

Dengue: একদিনে ৩ ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু, বিপদ যেন আরও চেপে বসছে
আবারও ডেঙ্গিতে মৃত্য়ু।


কলকাতা: গত কয়েকদিনে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে কাঁপছে বাংলা। এরইমধ্যে একদিনে তিন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর খবরে উদ্বেগ আরও বাড়ছে। এরমধ্যে দু’জন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বাসিন্দা। তৃতীয়জনের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। ভাঙড়ের দুই বাসিন্দার নাম ফতেমা বিবি (৫৬) ও সঞ্জয় রায় (৩৪)। বনগাঁর বাসিন্দার নাম সীমা বিশ্বাস (৪০)। এডিস ইজিপ্টাইয়ের দাপটে কার্যত ত্রস্ত গোটা বাংলা। অসমর্থিত সূত্রের খবর, ৫০ জনের বেশি ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন। ডেঙ্গি পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনও বারবার বৈঠকে বসছে। তবু মশাবাহিত এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে।


সীমা বিশ্বাস বনগাঁর বর্ধনবেড়িয়ার বাসিন্দা ছিলেন। ২০ দিন ধরে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে। শুক্রবার দুপুর ২টোয় মৃত্যু হয় তাঁর। অন্যদিকে ফতেমা বিবি ও সঞ্জয় রায় দু’জনই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে এমনও দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালে অন্য রোগ নিয়ে ভর্তি হওয়ার পর ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ আসছে। সেক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ হিসাবে অনেক সময় কোমর্বিডিটির উল্লেখ থাকছে ডেথ সার্টিফিকেটে।


ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পেশায় চিকিৎসক এক ব্যক্তি। রাজ্যের পুরপ্রশাসন ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ বলে দাবি করেছেন তিনি। পঞ্চায়েতগুলির ক্ষেত্রেও তথৈব চ দশা। যদিও নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, প্রশাসন সবসময় জাগরূক। সবসময় পরিস্থিতির দিকে নজরদারি চলছে। ১০ অক্টোবরের মধ্যে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিটি পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠকেও বসবে প্রশাসন। ডেঙ্গির জন্য পৃথক কলসেন্টারও খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গি সচেতনতায় চলবে জোরাল প্রচার।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours