অবিশ্বাস্য নয়, তবে অঘটন অবশ্যই। আফগানিস্তান ক্রিকেটে ইতিহাস। ওডিআইতে প্রথম বার পাকিস্তানকে হারাল আফগানিস্তান। তাও আবার বিশ্বকাপের মঞ্চে। আফগানিস্তানকে ২৮৩ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছিল পাকিস্তান। বিশ্বকাপের মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এত বড় স্কোর কেউ তাড়া করে জেতেনি। আফগানিস্তান সেটাই করল। রান তাড়ায় অনবদ্য ওপেনিং জুটি ইব্রাহিম জাদরান ও রহমানুল্লা গুরবাজের।
চেন্নাই: অবিশ্বাস্য নয়, তবে অঘটন অবশ্যই। আফগানিস্তান ক্রিকেটে ইতিহাস। ওডিআইতে প্রথম বার পাকিস্তানকে হারাল আফগানিস্তান। তাও আবার বিশ্বকাপের মঞ্চে। আফগানিস্তানকে ২৮৩ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছিল পাকিস্তান। বিশ্বকাপের মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এত বড় স্কোর কেউ তাড়া করে জেতেনি। আফগানিস্তান সেটাই করল। রান তাড়ায় অনবদ্য ওপেনিং জুটি ইব্রাহিম জাদরান ও রহমানুল্লা গুরবাজের। দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে সাময়িক চাপ তৈরি করে পাকিস্তান। তাতে অবশ্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়নি আফগানরা। রহমত শাহ এবং অধিনায়ক হসমতুল্লা শাহিদি ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। ৮ উইকেটের বিশাল জয়ে পাকিস্তানকে খাদের কিনারায় ঠেলে দিল আফগানিস্তান। বিস্তারিত জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।
চেন্নাইয়ের স্পিন সহায়ক পিচে আফগানিস্তান যে চমক দেখাতে পারে, এমন অনুমান করা হয়েছিল। তার ওপর দুই ম্যাচ হেরে নড়বড়ে ছিল পাকিস্তান। তাদের পাওয়ার প্লে বোলিং এবং মিডল অর্ডার ব্যাটিং নিয়েও প্রচুর প্রশ্ন উঠেছে। দলের অন্দরে দ্বন্দ্ব চলছে এমন বিষয়ও প্রকাশ্যে আসে। যার জেরে প্রেস বিবৃতি দিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, এ সব মিথ্যে রটনা। দলের অন্দরে কিংবা মাঠের বাইরে যাই হোক, পারফরম্যান্সের হতাশা ছিলই। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারে আত্মবিশ্বাস তলানিতে ছিল। চিপকে টস জেতায় হাসি ফোটে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের মুখে। নিশ্চিন্তে ব্যাটিং নেন। ওপেনিং জুটি ভালো হয়। বাবার নিজেও হাফসেঞ্চুরি করেন। শেষ দিকে শাদাব খান ও ইফতিকার আহমেদের সৌজন্যে আফগানিস্তানকে ২৮৩ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান।
রান তাড়ায় ঠান্ডা মাথায় শুরু করে আফগানিস্তানের ওপেনিং জুটি। প্রাথমিক উইকেট ছিল পাওয়ার প্লে-তে উইকেট না হারানো। সেই লক্ষ্য পূরণ হতেই দাপুটে ব্যাটিং। আফগান টিমের বেশ কয়েকজনের আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। চেন্নাইয়ের পিচে খেলারও। হিসেব কষেই যেন ব্যাটিং করেন দুই ওপেনার গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। পাকিস্তানের বাজে ফিল্ডিং তাদের কাজ আরও সহজ করে দেয়। ওপেনিং জুটিতে ১৩০ রান যোগ করেন জাদরান-গুরবাজ। আশঙ্কা ছিল এই জুটি ভাঙতেই চাপ না বাড়ে। গুরবাজ ও জাদরান আউট হতে সাময়িক চাপেও পড়ে আফগানিস্তান। তবে অভিজ্ঞ রহমত শাহ এবং অধিনায়ক হসমতুল্লা শাহিদি কোনও রকম আশঙ্কার পরিস্থিতি তৈরি হতে দেননি। এক ওভার বাকি থাকতেই জয় আফগানিস্তানের।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours