জ্যোতিপ্রিয়র গায়ে যে প্রভাবশালী তকমা জুড়তে পারে, তা পূর্বতন মন্ত্রীর গ্রেফতারির কেস স্টাডিতেই অনেকটা স্পষ্ট বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ। কারণ এর আগে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পরেও প্রভাবশালী তকমা খাঁড়া করেছিল ইডি
Ration Scam: মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পর কি বালুর বিপদ বাড়ল? আশঙ্কা আইনজীবীদের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
কলকাতা: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর করা মন্তব্যে কি বিপদ বাড়তে পারে মন্ত্রীর? সম্ভবনা ওড়াচ্ছেন না আইনজীবীদের একাংশ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি বিপদ আঁচ করতে পেরেছিলেন? প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির পর এই জল্পনাই বিরোধী রাজনৈতিক মহলে তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার যখন ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চালাচ্ছেন বালুর বাড়িতে, তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতেই সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”বালুর শরীর খুব খারাপ। আজ যদি ও মরে যায়, আমি বিজেপি ও ইডি-র বিরুদ্ধে এফআইআর করতে বাধ্য হব।”
রাতভর তল্লাশি জিজ্ঞাসাবাদের পর ভোররাতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করে ইডি। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য আর তার কিছু সময়ের ব্যবধানে মন্ত্রীর গ্রেফতারি কাকতালীয় হলেও আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, এহেন মন্তব্যে বিপদ বাড়তে পারে বালুর। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, মন্ত্রিসভার সদস্যের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর করা এই মন্তব্যে প্রভাবশালী তকমা জুড়তে পারে মন্ত্রীর নামের সঙ্গে।
আদালতে জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে ইডি-র হাতিয়ার হতে পারে এই মন্তব্য। আইনজীবীদের একাংশের মতে, আদালতে ইডি সওয়াল করতেই পারে, কতটা প্রভাবশালী হলে তাঁর পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধেই কার্যত হুঁশিয়ারি দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
জ্যোতিপ্রিয়র গায়ে যে প্রভাবশালী তকমা জুড়তে পারে, তা পূর্বতন মন্ত্রীর গ্রেফতারির কেস স্টাডিতেই অনেকটা স্পষ্ট বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ। কারণ এর আগে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পরেও প্রভাবশালী তকমা খাঁড়া করেছিল ইডি। কারণ ইডি যখন গ্রেফতার ঘোষণা করে দেয়, তখন নাকতলার বাড়িতে বসেই পার্থ ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য তাঁর ফোন ধরেননি। কিন্তু তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। আর পার্থর কপালে জুটে যায় প্রভাবশালী তকমা। যা আইনি লড়াইয়ে পার্থর বিপদ বাড়িয়েছে। কারণ এখনও পর্যন্ত এই প্রভাবশালী তত্ত্ব দেখিয়েই পার্থর জামিন আটকে রেখেছে ইডি। ইডি-র বক্তব্য, পার্থ প্রভাবশালী, তাই তিনি জামিনে মুক্ত হলে তদন্ত প্রক্রিয়া প্রভাবিত হতে পারে। আইনজীবীদের অনেকে মনে করছেন, গ্রেফতারির আগেই বালুর প্রসঙ্গে সস্নেহে বলা মুখ্যমন্ত্রী বার্তাও ভারী পড়তে পারে!
Post A Comment:
0 comments so far,add yours