অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস সব ডিলার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, "২০১৬ সাল থেকে যখন দোকানে দোকানে সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার আদেশ হল, তখন অনেক হোলসেলার এই ব্যবসা ছেড়ে পালাতে চেয়েছিল। তখন বাকিবুর সেই শূন্যস্থান পূরণ করেছিল। বাকিবুরের নির্দেশেই পুরোপুরি চলত সেই হোলসেলারগুলি।"
Bakibur Rahaman: দীর্ণ হোলসেলারদের 'প্রাণভোমরা' ছিলেন বাকিবুরই! উঠছে ভয়ঙ্কর অভিযোগ
বাকিবুর রহমান
কলকাতা: শুধু চালকল, আটাকল, হোটেল ব্যবসা কিংবা সিনেমায় টাকা ঢালাই নয়, রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার বাকিবুর রহমানের কীর্তি রয়েছে আরও। বকলমে তিনিই বেশ কিছু রেশন দোকানকে নিয়ন্ত্রণ করতেন, এমন অভিযোগও উঠে আসতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, তল্লাশি অভিযানের সময় বেশ কিছু নথি হাতে পেয়েছেন ইডির অফিসাররা। তা থেকে জোরালো হয়েছে, বাকিবুরের বেনামি রেশন দোকান চালানোর তত্ত্ব। আর এসবের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলছেন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস সব ডিলার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু। রেশন দোকানের সঙ্গে বাকিবুর যোগের যে তত্ত্ব উঠে আসছে, তাতেই একপ্রকার সিলমোহর দিলেন তিনি।
বিশ্বম্ভর বসুর বক্তব্য, বেশ কিছু হোলসেলার বাকিবুরের কাছে যেতেন। তাঁরা অনুরোধ করতেন, যাতে তাঁদের ব্যবসা চালিয়ে দেওয়া হয়। তখন বাকিবুর বিভিন্ন লোক মারফত সেই হোলসেলারগুলি চালিয়ে দিত, যাতে লাইসেন্স বজায় থাকে। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস সব ডিলার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, “২০১৬ সাল থেকে যখন দোকানে দোকানে সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার আদেশ হল, তখন অনেক হোলসেলার এই ব্যবসা ছেড়ে পালাতে চেয়েছিল। তখন বাকিবুর সেই শূন্যস্থান পূরণ করেছিল। বাকিবুরের নির্দেশেই পুরোপুরি চলত সেই হোলসেলারগুলি।”
বিশ্বম্ভর বসুর বক্তব্য, বাকিবুরের নেতৃত্বেই এই ধরনের হোলসেলারগুলি চলত। রাজারহাট, বারাসত, নৈহাটি থেকে শুরু করে বিস্তীর্ণ এলাকায় এভাবে বিভিন্ন হোলসেলারের উপর বকলমে দাপট ছিল রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার বাকিবুরের। শুধু তাই নয়, কাশীপুরের গোডাউনও বাকিবুরের ‘নেতৃত্বে’ চলত বলে অভিযোগ অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস সব ডিলার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours