গত কয়েকদিনে সকাল সন্ধ্যা ইডি দফতরেই কাটছে বালু মল্লিকের দুই ঘনিষ্ঠের। একজন তাঁর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাস, অন্যজন অমিত দে। দফায় দফায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। মন্ত্রীর গ্রেফতারের পর এত দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে ঘনিষ্ঠদের থেকে কী জানতে চাইছে ইডি?

Jyotipriya Mallick: 'আমি আপ্ত সহায়ক নই', বালুর সঙ্গে আসল সম্পর্ক ফাঁস করলেন অমিত
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও অমিত দে।

কলকাতা: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্ত সহায়ক হিসাবেই জানেন সকলে। তবে সোমবার ইডি দফতরে হাজিরা দিতে এসে অমিত দে দাবি করলেন, তিনি মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক নন, অফিসের কর্মী। একই পাড়ায় থাকার সূত্রে পরিচয়। এরপর তৃণমূল ক্ষমতায় আসার সময় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দফতরে চাকরি। একইসঙ্গে এদিন আরও একবার অমিত দে দাবি করেন, তিনি বাকিবুর রহমানকে চিনতেন। নিয়মিতই ডিপার্টমেন্টে যাতায়াত ছিল বাকিবুরের। দফতরের একাধিক আধিকারিকের সঙ্গেও বাকিবুরের যোগাযোগ ছিল বলেও দাবি করেন অমিত দে।


গত কয়েকদিনে সকাল সন্ধ্যা ইডি দফতরেই কাটছে বালু মল্লিকের দুই ঘনিষ্ঠের। একজন তাঁর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাস, অন্যজন অমিত দে। দফায় দফায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। মন্ত্রীর গ্রেফতারের পর এত দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে ঘনিষ্ঠদের থেকে কী জানতে চাইছে ইডি?

অমিত দের দাবি, যেহেতু দু’দিন ধরে মন্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, আইও যিনি জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, তিনি লাগাতার ওখানেই পড়ে ছিলেন। তাই সময়ের অভাবে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে উঠতে পারছেন না। সকাল থেকে এসে তাঁরা শুধু অপেক্ষাই করছেন। ব্যস্ততার ফাঁকে ইডি বিকালের পর যখন ফাঁকা হচ্ছে, তখন হয়ত আধঘণ্টা একঘণ্টা কথা বলছে। সে কারণে তাঁদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে।


অমিত দে বলেন, “মঙ্গলবারও আমি কিছু নথি নিয়ে আসব। আমি মন্ত্রীর পিএ নই। আমি ব্যক্তিগতভাবে একই এলাকায় থাকা ছেলে। পরিচিত সেই হিসাবে। ছোট থেকে ওনার একই পাড়াতে বড় হওয়া। সেই পরিচিতির সূত্র ধরে পরবর্তীকালে তৃণমূলের সরকার আসে যখন, উনি যখন ক্ষমতা পান আমি ওনার অফিস স্টাফ হিসাবে কাজে যোগ দিই। সিএ হিসাবে জয়েন করেন অভিজিৎ দাস। আমি আপ্তসহায়ক নই। সম্ভবত ২০১৬ সাল অবধি অভিজিৎ দাস সিএ ছিলেন। এরপর আর ওই পদে কেউ যোগ দেননি।”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours