সুইডিশ অ্যাকাডেমির তরফে ২০২৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হল নরওয়ের লেখক জন ফসে-কে। তাঁর উদ্ভাবনী গদ্য ও নাটক, যা না বলা অনেক কথাকে তুলে ধরেছে, সেই অসামান্য অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হল।
Nobel Prize: সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন নরওয়ের লেখক জন ফসে
জন ফসে।
সুইডেন: সাহিত্যে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতি। সুইডিশ অ্যাকাডেমির তরফে ২০২৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হল নরওয়ের লেখক জন ফসে(John Fosse)-কে। তাঁর উদ্ভাবনী গদ্য ও নাটকের জন্য নোবেল পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হল। সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হল বলেই জানানো হয়েছে সুইডিশ অ্যাকাডেমির তরফে।
এ দিন সুইডিশ অ্যাকাডেমির তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, “নরওয়ের প্রেক্ষাপটে অসামান্য সাহিত্য়ের রচনা করেছেন জন ফসে। নাটক, গদ্য়, পদ্য, রচনা, শিশুদের বই ও অনুবাদ-বিভিন্ন শৈলীর লেখা লিখেছেন তিনি। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তিনি নাটক রচয়িতা হিসাবে পরিচিত হলেও, তাঁর গদ্যের জন্যও ক্রমশ তিনি পরিচিত হয়ে উঠছেন।”
নরওয়ের হরগুসেনে জন্মগ্রহণ করেন জন ফসে। বারগেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক সাহিত্য নিয়ে স্নাতক হন তিনি। সেই সময় থেকেই সাহিত্য রচনা শুরু করেন তিনি। ব্যক্তিগত ভাগ করে নিতে গিয়ে জন ফসে বলেছিলেন, মাত্র সাত বছর বয়সে ভয়ানক পথ দুর্ঘটনার মুখে পড়েন তিনি। প্রায় মৃত্যুমুখে চলে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর বিভিন্ন রচনাতে সেই অভিজ্ঞতার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
জন ফসের প্রথম উপন্যাল ছিল ‘রেড, ব্ল্যাক’, ১৯৮৩ সালে তা প্রকাশিত হয়। ১৯৯৪ সালে তাঁর প্রথম নাটক প্রকাশিত ও অনুষ্ঠিত হয়। উপন্য়াসের পাশাপাশি তিনি কবিতা, নাটক ও শিশুদের বই লিখেছেন। ৪০টিরও বেশি ভাষায় তাঁর লেখনি অনুবাদ করা হয়েছে।
২০১৫ সালে তিনি নর্ডিক কাউন্সিলস লিটেরেচার পুরস্কার পান। ২০২২ সালে তাঁর উপন্যাসকে ‘অ্যা নিউ নেম’ আন্তর্জাতিক বুকার প্রাইজের জন্য বাছাই করা হয়েছিল। ২০২৩ সালে ন্যাশনাল বুক ক্রিটিকস সার্কেলেও তাঁর নাম বাছাই করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ফরাসি সাহিত্যিক অ্যানি এরনক্স। এক মহিলার কাহিনী নিয়ে আবর্তিত একটি রচনার জন্যই নোবেল পেয়েছিলেন তিনি।
বুধবারই রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স রসায়নে নোবেল পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হয় তিউনিশিয়ান-ফরাসী বিজ্ঞানী মৌঙ্গি জি বাভেন্ডি, মার্কিন বিজ্ঞানী লুই ই. ব্রুস এবং রুশ বিজ্ঞানী আলেক্সি আই. একিমভকে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours