মঙ্গলবার রাত ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে ল্যান্ডফল করে ঘূর্ণিঝড় হামুন। সন্ধ্যার দিকে যখন ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে প্রবেশ করছিল, সেই সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। রাত ৮টা থেকে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ১০৪ কিলোমিটার।

Cyclone Hamoon: মধ্যরাতে ল্যান্ডফল করেই খেল দেখাচ্ছে হামুন, কক্সবাজারে মৃত ২, কেমন থাকবে বাংলার আকাশ?
হামুনের প্রভাবে বাংলাদেশে বৃষ্টি।

ঢাকা: বাংলাদেশে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় হামুন (Cyclone Hamoon)। মধ্য রাতে চট্টগ্রামের কাছে ল্যান্ডফল (Landfall) হয় ঘূর্ণিঝড়ের। স্থলভাগে প্রবেশ করতেই শক্তি হারাতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড়। ঝোড়ো হাওয়া ও ঝড়বৃষ্টির জেরে একাধিক জায়গায় গাছপালা ও বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর মিলেছে। দেওয়াল ও গাছ চাপা পড়ে কক্সবাজারে কমপক্ষে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাব পড়বে না রাজ্যে। আপাতত বৃষ্টির কোনও সতর্কতা নেই। একাদশীতে রাজ্যজুড়ে পরিষ্কারই থাকবে আকাশ।


মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে আজ বাংলাদেশে দিনভর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও, এর প্রভাব বাংলায় পড়বে না। আজ দিনভর আকাশ রোদ ঝলমলে থাকবে। তবে রাতের দিকে সামান্য কমতে পারে তাপমাত্রা। স্বাভাবিকের তুলনায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে তাপমাত্রা। ফিরবে হেমন্তের ছোঁয়া।


বাংলাদেশের পরিস্থিতি-
মঙ্গলবার রাত ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে ল্যান্ডফল করে ঘূর্ণিঝড় হামুন। সন্ধ্যার দিকে যখন ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে প্রবেশ করছিল, সেই সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। রাত ৮টা থেকে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ১০৪ কিলোমিটার।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়। মাঝারি পরিমাণ বৃষ্টি হয় খুলনা, বরিশাল সহ একাধিক জেলায়। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে জ্বলোচ্ছাসও হয়। ৩ থেকে ৫ ফুট উচ্চতা অবধি উঠে যায় জল।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours