গৌতম পাল এদিন ব্যাখ্যা করেছেন, নিয়োগ আর টেট দুটো ভিন্ন বিষয়। টেট পরীক্ষায় পাশ করে থাকলে, সেই প্রার্থীদের মধ্যে থেকে শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়। আর সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী যে প্রতি বছর টেট পরীক্ষা হবে, সে কথাও এদিন উল্লেখ করেছেন পর্ষদ সভাপতি।
কলকাতা: ২০১৭ সালের পর ২০২২ সালে প্রথমবার টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। তুমুল বিতর্ক, একগুচ্ছ মামলা হওয়ার পর গত বছরের ডিসেম্বর মাসে টেট নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ১১ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য টেট নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছিল পর্ষদের তরফে। সেই পরীক্ষার পর আট মাসের বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও একটি পদেও নিয়োগ হয়নি। এরই মধ্যে ফের টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে চলেছে। প্রশ্ন উঠেছে, গত বছরের নিয়োগ সম্পূর্ণ না হওয়া সত্ত্বেও কেন ফের নিয়োগ?
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, প্রার্থীদের করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র মেলেনি বলেই আটকে আছে নিয়োগ। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ থেকে ছাড়পত্র মিলেছে। সুপ্রিম কোর্ট থেকেও দ্রুত ছাড়পত্র মিলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি আরও দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও চান অবিলম্বে নিয়োগ হোক।
এছাড়া গৌতম পাল এদিন ব্যাখ্যা করেছেন, নিয়োগ আর টেট দুটো ভিন্ন বিষয়। টেট পরীক্ষায় পাশ করে থাকলে, সেই প্রার্থীদের মধ্যে থেকে শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হবে। তিনি উল্লেখ করেছেন, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা যেমন প্রতি বছর হয়, তেমনভাবেই টেট পরীক্ষা প্রতি বছর নিতে হবে বলে উল্লেখ রয়েছে এনসিটিই-র গাইডলাইনে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণেও সে কথা বলা আছে। তাই নিয়োগ প্রতি বছর না হলেও টেট পরীক্ষা প্রতি বছর নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের পরীক্ষার পর ইন্টারভিউ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলে গেলেও ওই নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ২০২০-২২ সালে ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ হওয়ার আবেদন করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁদের দাবি, প্রশিক্ষণের কোর্স যে শেষ হয়নি, সেটা বোর্ডের দোষ। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, প্রশিক্ষণ শেষ না করে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে না। এরপর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান ওই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours