এর আগেও বহু ক্ষেত্রে তিনি এই কথা বলেছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের জন্য চাপ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনে সেই দেশের প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসাও রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

G20 শীর্ষ সম্মেলনের আগে রাষ্ট্রপুঞ্জের উপর চাপ বাড়ালেন মোদী, বেঁধে দিলেন সংস্কারের সুর
চাপ বাড়ালেন মোদী

নয়া দিল্লি: আগামী সপ্তাহেই নয়া দিল্লিতে বসছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। তার আগে ফের একবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্কারের আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বস্তুত, ক্ষমতার আসার পর থেকে বহুবার তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্কারের পক্ষে তাঁর দৃঢ় মত প্রকাশ করেছেন। আবারও তিনি জানিয়েছেন, পরিবর্তিত আন্তর্জাতিক ভূ-অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে এবং গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত না করতে পারলে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে। এর আগেও বহু ক্ষেত্রে তিনি এই কথা বলেছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের জন্য চাপ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনে সেই দেশের প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসাও রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছিলেন।


প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, “আজকের বিশ্ব এক বহুমেরুর বিশ্ব। তাই, সব পক্ষের জন্য ন্যায্য এবং সংবেদনশীল নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হলেই প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখতে পারবে। বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ের পদ্ধতিগুলি, একুশ শতকের বিশ্বে অচল। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে এই পরিবর্তনশীল বাস্তবতাগুলি মানতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফোরামগুলিতে আরও দেশকে জায়গা দিতে হবে। তাদের অগ্রাধিকারগুলি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ সব কণ্ঠের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। সময়মতো এই কাজগুলি করা না হলে, ছোট বা আঞ্চলিক ফোরামগুলি গুরুত্ব বাড়তে শুরু করে।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, জি২০ গোষ্ঠীকে নিয়ে অনেক দেশই আশাবাদী। এই প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তারা আশার আলো দেখছে। তিনি জানিয়েছেন, আজকের পৃথিবীতে শুধু কাজ করলেই চলবে না। সেই কাজ যাতে ফলপ্রসূ হয়, সেই দিকেও নজর দিতে হবে। কারণ গোটা বিশ্বই এখন ফল চায়, তা যেভাবেই আসুক না কেন। এই সন্ধিক্ষণেই জি২০-র সভাপতিত্ব পেয়েছে ভারত। গোটা বিশ্বে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে ভারতের অবস্থান। ভারতকে ‘আন্তর্জাতিক বৃদ্ধির ইঞ্জিন’ বলে উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতের বিশ্ব গঠনে ভারতের বড় অবদান থাকবে। তিনি বলেছেন, “জি২০ ভারতকে তার মানবকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। পাশাপাশি, সার্বিকভাবে গোটা মানব জাতি যেসব সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে, সেগুলির উদ্ভাবনী সমাধানের জন্য সহযোগিতা করার সুযোগ দিয়েছে।”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours