প্রসঙ্গত, গত মাসের শেষের দিকেই ঘাটাল মহকুমাকে রেলপথের সঙ্গে যুক্ত করার দাবিতে রেলমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট। ২০১০ সালে কেন্দ্রীয় রেল বাজেটে ঘাটালকে রেল পথে যুক্ত করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।
মেদিনীপুর: লোকসভা নির্বাচন হলেই আগে ঘাটালে রেলস্টেশন বানানো হবে, তারপর মাস্টারপ্ল্যান। আর যা করবে, সবটাই বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। রবিবার ঘাটালের বিদ্যাসাগর স্কুল মাঠে একটি জনসভায় দাঁড়িয়ে বললেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। হিরণের কথায়, “লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর ঘাটালে আগে হবে রেলপথ, তারপরে মাস্টার প্ল্যান।” হিরণ অভিযোগ করেন, “কেন্দ্রের মোদী সরকারের সমস্ত প্রকল্পের যোজনা অর্ধেক মানুষের কাছে পৌঁছয় না। কারণ, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত কিছু নিজের নামে ট্রান্সফার করে দেন। তাঁর একটাই উদ্দেশ্য কুর্সিতে বসে থাকা।” তিনি ডাক দেন, “আমাদের একটাই লক্ষ্য, আগামী ২০২৪ নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। ঘাটাল থেকে বিপুল ভোটে লিড আনতে হবে।”
প্রসঙ্গত, গত মাসের শেষের দিকেই ঘাটাল মহকুমাকে রেলপথের সঙ্গে যুক্ত করার দাবিতে রেলমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট। ২০১০ সালে কেন্দ্রীয় রেল বাজেটে ঘাটালকে রেল পথে যুক্ত করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন তো দূরের কথা, কথা বার্তাও কিছুদূর এগোয়নি। বিধায়ক রেলমন্ত্রীর কাছে পাঁশকুড়া থেকে ঘাটাল ও চন্দ্রকোণা পর্যন্ত রেলপথে যোগাযোগের ব্যবস্থা তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে। উল্লেখ্য ঘাটাল থেকে সড়কপথে খড়গপুর রেল স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ৯০ কিলোমিটার। পাঁশকুড়া স্টেশন থেকে ঘাটাল শহরের দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার ও চন্দ্রকোণাপ দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার। এখন যোগাযোগের একমাত্র পথ সড়ক। সেক্ষেত্রে রেল পথ তৈরির ওপর জোর দিচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত ঘাটালের মাস্টার প্ল্যান নিয়েও কোনও কথাবার্তা এগোয়নি। এখনও পর্যন্ত একাধিক দফতরে ঘুরেও মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কথা বার্তা এগোয়নি। লোকসভা নির্বাচনের আগে এবার বিজেপি সেই ইস্যুগুলিকেই হাতিয়ার করে শাসকদলকে বিঁধতে প্রস্তুত। ঘাটালের সভা থেকেও মুখ্যমন্ত্রীকে সেই ইস্যুতেই বিঁধলেন হিরণ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours