আইনজীবী শেখ মনসুর আলম বলেন, "আগের দিনের নির্দেশ অনুসারে হলদিয়া অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট আদালতে পেশ করা হয়। তবে এই কোর্টে কোনও কেস ফাইল নেই, তাই ফার্স্ট ট্রাক কোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছেন বিচারক। এ দিন, সিবিআই আধিকারিকরা হাজির ছিলেন কোর্টে। তিনদিনের নিজেদের হেফাজতের চেয়ে আবেদন করে ছিলেন। তবে একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
পূর্ব মেদিনীপুর: ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় আত্মসমর্পণ করেন নন্দীগ্রামের দাপুটে তৃণমূল নেতা আবু তাহের। শনিবার হলদিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। তিনদিনের জেল হেফাজত শেষে পুনরায় তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল হলদিয়া আদালত। মঙ্গলবার হলদিয়া আদালতে পেশ করা হয় নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু তাহেরকে। হলদিয়া মহকুমা অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জার্জ আদালত থেকে তাঁকে ফার্স্ট ট্রাক কোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
আইনজীবী শেখ মনসুর আলম বলেন, “আগের দিনের নির্দেশ অনুসারে হলদিয়া অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট আদালতে পেশ করা হয়। তবে এই কোর্টে কোনও কেস ফাইল নেই, তাই ফার্স্ট ট্রাক কোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছেন বিচারক। এ দিন, সিবিআই আধিকারিকরা হাজির ছিলেন কোর্টে। তিনদিনের নিজেদের হেফাজতের চেয়ে আবেদন করে ছিলেন। তবে একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহত হয়েছিলেন নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের চিল্লগ্রামের বিজেপি নেতা দেবব্রত মাইতি। সেই ঘটনার মামলায় পরবর্তী ক্ষেত্রে আদালত সিবিআইকে তদন্তের দায়ভার দেয়। ঘটনার তদন্তে নেমে আদালতে চার্জশিট পেশ করে। এরপর তিনটি ধাপে নন্দীগ্রামের মোট কুড়িজন তৃণমূল নেতার নামে এই ঘটনা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। যাদের মধ্যে অন্যতম শেখ সুফিয়ান, আবু তাহের, শেখ খুশনবিশ সহ একাধিক তৃণমূলের নন্দীগ্রামের প্রথম সারি নেতা। যদিও, আবু তাহেরদের তরফ থেকে চক্রান্তের দাবি করা হয়েছিল। পরবর্তী ক্ষেত্রে আবু তাহেরের আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টে ৪৩৮ ধারায় মামলা করেন। সেই মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে যান তৃণমূল নেতা। তবে বিচারপতি নির্দেশ দেন আত্মসমর্পণের। সেই মতো শনিবার হলদিয়া মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আবু তাহের। তিনি ছাড়াও জামিনে রয়েছেন বাকি বারোজন তৃণমূল নেতা হাজিরা দেবেন বলে জানা গিয়েছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours