মৃতের নাম পিনাক সরকার (৬৬)। তাঁর বাড়ি সল্টলেকের এ ই ব্লকে। জ্বর নিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বৃদ্ধ। গতকাল রাত্রি ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ মারা যান তিনি। মৃত্যুর কারণ হিসাবে তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির কথা উল্লেখ করা হয়েছে হাসপাতালের তরফে।
বিধাননগর: দাপট বাড়াচ্ছে এডিস মশা। কলকাতা সহ জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে ঠিক তেমনই মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসছে। বৃহস্পতিবারও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এরই মধ্যে ফের কলকাতায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বৃদ্ধের। এর আগে দমদমে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এক নাবালিকার।
নার্সিংহোম সূত্রে খবর, মৃতের নাম পিনাক সরকার (৬৬)। তাঁর বাড়ি সল্টলেকের এ ই ব্লকে। জ্বর নিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। গতকাল রাত্রি ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ মারা যান। মৃত্যুর কারণ হিসাবে তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির কথা উল্লেখ করা হয়েছে নার্সিংহোমের তরফে। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিধাননগর পৌরনিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সব্যসাচী দত্ত বলেন, “এটা দুর্ভাগ্য যে আমার ওয়ার্ডেরই একজন প্রাণ হারিয়েছেন। খুঁটি পুজোর দিনও উনি উপস্থিত ছিলেন। সচেতনতার প্রচার বারবার চালানো হয়েছে। আবারও বলছি নিজের বাড়ি পরিষ্কার রাখুন পাশের মানুষজনদেরও পরিষ্কার রাখার অনুরোধ করুন।”
গতকালও দুই মহিলা ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। দু’জনই পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। একজন ঘাটালে থাকতেন অপরজন খড়গপুরে। বৃহস্পতিবার ১টা নাগাদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে তাঁর মৃত্যু হয় তাঁদের।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গি নিয়ে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’-তে ১৩৩টি ফোন এসেছে। যার মধ্যে ১২টি ফোন এসেছে রোগী ভর্তির আবেদন জানিয়ে এবং বাকি ফোনগুলি এসেছে রক্তের প্রয়োজন নিয়ে। যার জেরে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে নবান্নেও। ইতিমধ্যেই গতকাল ডেঙ্গি মোকাবিলায় আবার জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে রাজ্য প্রশাসন। ডেঙ্গি নিয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হয় উত্তরবঙ্গ ও দুই ২৪ পরগনা ও নদিয়ায়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours