শনিবার মণিপুরের মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল বীরেন সিংয়ের নেতৃত্বে। উত্তর-পূর্ব ভারতের পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সেই বৈঠকেই মণিপুরের ‘অশান্ত এলাকায়’ আমর্ড ফোর্সেস স্পেশ্যাস পাওয়ার অ্যাক্ট আরও ৬ মাস জারি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইম্ফল: মণিপুরে হিংসার পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। কুকি ও মেইতেই গোষ্ঠীর মধ্যে চলতে থাকা সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে মণিপুর পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীও মোতায়েন রয়েছে। সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকাকে শনিবার প্রশ্নের মুখে দাঁড় করালেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। শুক্রবার মণিপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়। প্রায় ৫০ জন আহত হন। এই প্রেক্ষিতেই মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বাহিনীর পদক্ষেপকে ‘অযাচিত’ বলেছেন।
শনিবার মণিপুরের মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল বীরেন সিংয়ের নেতৃত্বে। উত্তর-পূর্ব ভারতের পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সেই বৈঠকেই মণিপুরের ‘অশান্ত এলাকায়’ আমর্ড ফোর্সেস স্পেশ্যাস পাওয়ার অ্যাক্ট আরও ৬ মাস জারি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিতর্কিত আইন ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এভং প্যারামিলিটারিকে বিশেষ ক্ষমতা দেয় এলাকার আইনশৃৃখলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে।
মণিপুরের হিংসায় প্রচুর বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে, জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি তৈরির জন্য একটি প্রকল্প নিয়েছে মণিপুর সরকার। সেই প্রকল্পের অধীনে আগামী কয়েক মাসে হিংসার জেরে গৃহহীনদের জন্য বাড়ি বানানো হবে। যে সব এলাকায় হিংসার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে, সেই সব এলাকা থেকেই এই বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে প্রায় এক হাজার বাড়ি তৈরি করা হবে। এর জন্য খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৭৫ কোটি টাকা। স্থায়ী বাড়ি বানাতে ১০ লক্ষ টাকা করে, অর্ধস্থায়ী বাড়ি বানাতে ৭ লক্ষ টাকা করে এবং অস্থায়ী বাড়ি বানাতে ৫ লক্ষ টাকা করে খরচ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
মণিপুর সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, হিংসার ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার ৮০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৭০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছে ৭০০-র বেশি। এই হিংসা প্রায় ৭০ হাজার মানুষকে গৃহহীন করেছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours