ঘটনার সূত্রপাত শিক্ষক দিবসের দিন। স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষক দিবসে উঁচু ক্লাসের 'দাদারা' নীচু ক্লাসের 'ভাইদের' পড়ায়। অভিযোগ, পাঁচ পড়ুয়া ষষ্ঠ শ্রেণির শ্রেণিকক্ষে ঢোকে।


নদিয়া: যাদবপুরে সদ্য এক স্বপ্নের মৃত্যু হয়েছে। নেপথ্যে উঠে এসেছে র‌্যাগিং অভিযোগ। এবার নদিয়ার কলেজিয়েট স্কুলেও র‌্যাগিংয়ের অভিযোগের কথা সামনে এসেছে। শিক্ষক দিবসের দিনে নীচু ক্লাসের পড়ুয়াদের র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পড়ুয়াদের এক বছরের জন্য বরখাস্ত করল স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হল পাঁচ পড়ুয়াকে।


ঘটনার সূত্রপাত শিক্ষক দিবসের দিন। স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষক দিবসে উঁচু ক্লাসের ‘দাদারা’ নীচু ক্লাসের ‘ভাইদের’ পড়ায়। অভিযোগ, পাঁচ পড়ুয়া ষষ্ঠ শ্রেণির শ্রেণিকক্ষে ঢোকে। এক পড়ুয়াকে ক্লাসের মধ্যে প্যান্ট-জামা খুলতে বলে। তারপর তার সঙ্গে অভব্য আচরণ করে বলে অভিযোগ। ওই পড়ুয়া ও তার বন্ধুরা বাড়িতে গিয়ে গোটা বিষয়টি জানায়। তারপর ছাত্রের অভিভাবকরা অভিযোগ জানান স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে। অভিযুক্ত পাঁচ পড়ুয়াকে চিহ্নিত করা হয়। অভিযুক্তদের এক বছরের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে তারা বাড়িতে পড়াশোনা করে স্কুলে এসে পরীক্ষা দিতে পারবে।

স্কুলেরই এক ছাত্রের কথায়, “স্কুলের যা পরিস্থিতি, তাতে তো ক্লাসে আসতেই ভয় পাচ্ছি। বাবামায়েরাও ভয় পাচ্ছে।” ওই ছাত্র আবার বিস্ফোরক কথা বলে। তার বক্তব্য, “স্কুলে তো অনেক সময়ে বন্দুকও দেখা যাচ্ছে। এগুলো তো চিন্তার বিষয়। হেড স্যরকে স্কুলের নিরাপত্তার ব্যাপারে ভাবতে হবে।”


প্রধান শিক্ষক বলেন, “এক ছেলেকে জামা কাপড় খুলিয়েছে। ক্লাস ঢুকে সিগারেট খেয়েছে। ওই দিন ছাত্ররা স্টাফ রুমে এসে অভিযোগ করে। আমরা তৎক্ষণাৎ ঠিক করি, ওই ছাত্রদের স্কুলে রাখা ঠিক হবে না। স্কুল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিই। তিন জন দ্বাদশ শ্রেণির, দু’জন একাদশ শ্রেণির। বোর্ডের পরীক্ষা দিতে পারবে।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours