নিয়োগ দুর্নীতির ভূরি ভূরি অভিযোগের মাঝেই টেট পরীক্ষার ঘোষণা করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০২২-এর মতো এ বছরও ডিসেম্বরেই টেট হবে বলে ঘোষণা করলেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।
কলকাতা: ২০২৩ সালে ডিসেম্বর মাসে প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে। আজ, বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা ঘোষণা করেছেন। ১০ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষার দিন ধার্য করা হয়েছে। পর্ষদের ওয়েবসাইটে বুধবার সন্ধ্যায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। সংবাদমাধ্যমে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হবে টেট-এর নিবন্ধীকরণ বা রেজিস্ট্রেশন। পর্ষদ সভাপতি আরও জানিয়েছেন, এবছর ওএমআর শিটের আসল কপি পর্ষদ নিয়ে নেবে ও পরীক্ষার্থী কপি তাঁরা বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন।
কী বললেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল?
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টা থেকে আবেদন করার সময় শুরু হচ্ছে। তিন সপ্তাহ সময় থাকবে প্রার্থীদের কাছে। কারও পেমেন্টের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা থাকলে আরও একদিন বর্ধিত করা হবে সেই সময়সীমা: গৌতম পাল।
টেট আর নিয়োগ আলাদা। এনসিটিই-র গাইডলাইন ও সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ মেনে প্রতি বছর টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে। গত বছরও সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। তবে কখনই ধরে নেওয়া যায় না যে কেউ টেট পাশ করলেই সঙ্গে সঙ্গে নিয়োগ হবে।নিয়োগের একটা প্রক্রিয়া আছে: গৌতম পাল।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা যেমন প্রতি বছর হয়, তেমনই টেট হবে প্রতি বছর। নিয়োগ কোনও বছরে না হলেও টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে: গৌতম পাল।
শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন যাতে দ্রুত নিয়োগ হয়। ইতিমধ্যেই আমরা ইন্টারভিউ নেওয়ার প্রক্রিয়াও শেষ করেছি: গৌতম পাল।
প্রার্থীদের কিছু সমস্যা থাকায় নিয়োগ আটকে আছে। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ থেকে আমরা ছাড়পত্র পেয়েছি। আশা করছি সুপ্রিম কোর্ট থেকেও দ্রুত ছাড়পত্র পেয়ে যাব। কারপরই আমরা নিয়োগ করতে পারব: গৌতম পাল।
সরকার চাইছে আরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগ হোক। এই পর্বের নিয়োগ শেষ হলেই পরের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিতে পারব: গৌতম পাল।
প্রতি বছর যদি দুবার নিয়োগ করতে পারি, তাহলে আগামিদিনে সমস্যা হবে না। সরকারও সেটাই চাইছে: গৌতম পাল।
যাঁরা বিএড করেছেন, তাঁরা টেট পরীক্ষায় বসতে পারবেন না, এটাই সুপ্রিম কোর্টের রায়। নতুন বিজ্ঞপ্তি সেই রায় অনুযায়ীই হবে: গৌতম পাল
Post A Comment:
0 comments so far,add yours