সুলতাদেবীর কথায়, ছেলে যাওয়া ইস্তক নিয়মিত বাড়িতে ফোন করতেন। মায়ের সঙ্গে কথাও হত। রবিবারও কথা হয় বলে জানান মা। হঠাৎই সোমবার সুরজিতের মৃত্যুর খবর আসে বাড়িতে। সুরজিতের এক বন্ধুই ফোন করেছিলেন। জানান, হার্ট ফেল করেছে।
Migrant Worker Death: পুজোর আগে ছেলে 'পরিযায়ী' হোক চাননি মা, জম্মুতে মৃত্যু বাংলার শ্রমিকের
সুরজিৎ দাস।
হুগলি: আবারও পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু। ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল কোন্নগরের এক শ্রমিকের। ২৪ দিন আগে জম্মুর রামবান জেলার বনিহালে কাজে গিয়েছিলেন হুগলির কানাইপুর রায়পাড়ার সুরজিৎ দাস (২৪)। পুজোর আগে বাড়িতে এল ছেলের মৃত্যুর খবর। এমন ঘটনায় মাথায় বাজ পরিবারের। তারা সন্দেহ করছে সুরজিৎকে খুন করা হয়েছে। ঠিকমতো তদন্ত করা হোক, চান বাড়ির লোকেরা।
পরিবার সূত্রের খবর, কোন্নগর চটকল এলাকার তিন বন্ধুর সঙ্গে সুরজিৎ ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন। সুরজিতের মা সুলতা দাসের কথায়, পুজো আসছে, এদিকে ছেলেটা বাইরে কাজে যাবে মনই সায় দিচ্ছিল না। বারবার ছেলেকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। পাল্টা ছেলে মাকে বুঝিয়েছিলেন, বাইরে কাজে গেলে দু’টো পয়সা আসবে হাতে। আবার জম্মু কাশ্মীরটা ঘুরে দেখাও হয়ে যাবে।
সুলতাদেবীর কথায়, ছেলে যাওয়া ইস্তক নিয়মিত বাড়িতে ফোন করতেন। মায়ের সঙ্গে কথাও হত। রবিবারও কথা হয় বলে জানান মা। হঠাৎই সোমবার সুরজিতের মৃত্যুর খবর আসে বাড়িতে। সুরজিতের এক বন্ধুই ফোন করেছিলেন। জানান, হার্ট ফেল করেছে। সুস্থ ছেলের এমন পরিণতি শুনে ফোনেই চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন বাড়ির লোকেরা। অভিযোগ, এরপর সেই বন্ধু ফোন কেটে দেন। এরপর আবারও ফোন করলে, বন্ধুরা জানান, সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছিলেন সুরজিৎ।
বন্ধুদের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে বলে দাবি পরিবারের। সুলতাদেবী ভিডিয়ো কলে ছেলেকে দেখতে চান। তিনি ছেলের মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখেন বলেও দাবি করেছেন। যাঁদের সঙ্গে কাজে গিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে অসঙ্গতি পেয়েছে সুরজিতের পরিবার। তাই এই মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে মানতে নারাজ তারা। ইতিমধ্যেই কানাইপুর পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগও জানাতে যায় শ্রমিকের পরিবার। আরও একটি বিষয়ে খটকা লাগছে বাড়ির লোকের। ঠিকাদার তড়িঘড়ি দেহ পাঠানোর জন্য অতি সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ পরিবারের। বাড়ির লোকেরা চান, তাঁরা জম্মু গেলে তারপর দেহ ময়না তদন্তে পাঠাতে হবে। একইসঙ্গে বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদও করতে হবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours