অস্থায়ী কর্মচারি ও শূন্যপদে নিয়োগের বিষয়কে মূলত সামনে রেখেই এদিনের স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি নেয় যৌথমঞ্চ। ভাস্কর ঘোষ বলেন, "বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে যে সমস্ত অস্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা কাজ করছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সেই ডিপার্টমেন্ট থেকে বলা হয়েছে অর্থবছরের শুরুতে নিয়মিত পয়সা পাঠিয়ে দিচ্ছেন।

DA: রাজ্যপালের সাক্ষাতে সংগ্রামী যৌথমঞ্চ, কুণালের খোঁচা 'ওরা বিরোধীদের দোকান'
রাজভবনের সামনে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের প্রতিনিধিরা।

কলকাতা: মহার্ঘ ভাতা বা ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স (DA)-এর দাবিতে প্রায় ৮ মাস ধরে আন্দোলন করছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সোমবার রাজ্যপালের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, আট মাস ধরে আন্দোলন চলছে তাঁদের। এবার তার সমাপ্তি হওয়া দরকার। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে তাই রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। এদিন সকালে একটি মিছিলও করা হয় যৌথমঞ্চের তরফে। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শুরু হয়ে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের সেই মিছিল পৌঁছয় শহিদ মিনারে। সেখানে জমায়েতের পর এক প্রতিনিধি দল রাজভবনে যায়।


ভাস্কর ঘোষের কথায়, “আমরা চাই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে রাজ্যপাল এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন। উনি বলেছেন, সরকারের সঙ্গে কথা বলে আমাদের সঙ্গে বসানোর চেষ্টা করবেন।” সংগ্রামী যৌথমঞ্চের প্রতিনিধি দলের তরফে এদিন বলা হয়, অস্থায়ী অথচ নিয়মিত কর্মী যাঁরা, তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। এ বিষয়েও রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে।

অস্থায়ী কর্মচারি ও শূন্যপদে নিয়োগের বিষয়কে মূলত সামনে রেখেই এদিনের স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি নেয় যৌথমঞ্চ। ভাস্কর ঘোষ বলেন, “বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে যে সমস্ত অস্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা কাজ করছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সেই ডিপার্টমেন্ট থেকে বলা হয়েছে অর্থবছরের শুরুতে নিয়মিত পয়সা পাঠিয়ে দিচ্ছেন। অথচ অঙ্গনওয়াড়ি, পিএইচই কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না। কেন্দ্রীয় ভাগের টাকা দিলেও রাজ্যের ভাগের টাকা দিচ্ছে না। এটা আইনবিরুদ্ধ। রাজ্যপাল বলেছেন, এ বিষয়ে রিপোর্ট চাইবেন রাজ্যের কাছে।”


যদিও এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ বলেন, “যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ আসলে বিরোধীদের দোকান। বিরোধীদের কিছু অতৃপ্ত আত্মা সেই মঞ্চে যায়। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, আইএসএফ। যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ হচ্ছে দিল্লিতে গিয়ে হিন্দু মহাসভার ঘর ভাড়া করে থাকে। এরা দিল্লিকে বলে না বাংলার বকেয়া দিয়ে দাও। বাংলার বকেয়া দিলে তাঁদেরও ডিএ পেতে সুবিধা হয়। আসলে ওরা শুধু বিরোধীদের স্বার্থ সিদ্ধি করার রাজনীতি করে। ফলে তাদের মতো রাজনীতি করছে।”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours