মূলত, এই অর্কিড গার্ডেনটিতে দুই ভাগে কাজ করা হবে। একটি প্রদর্শন ও বিক্রয়। অন্যটিতে প্রোডাকশন। আপাতত ৮৫ টি বিভিন্ন প্রজাতির অর্কিড দিয়ে শুরু করা হলেও আগামীতে প্রজাতির সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। একইভাবে বেশ কয়েক গাছের টিশু কালচার করে ব্যাপক হারে উৎপাদন বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে।


জলপাইগুড়ি: থাইল্যান্ড থেকে অর্কিড এল এ রাজ্য়ের জলপাইগুড়িতে। উত্তরবঙ্গের ফুল চাষিদের উৎসাহ দিতে প্রায় ৮৫ রকমের রঙবেরঙের ফুল থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করল রাজ্যের হর্টি কালচার দফতর। আর এইসব চারা গাছগুলি দিয়ে সাজানো উত্তরবঙ্গে প্রথম অর্কিড গার্ডেন ‘উর্বি জারা’-র পথ চলা শুরু হল। শনিবার এই বাগানের উদ্বোধন করেন রাজ্যের উদ্যান পালন মন্ত্রী গুলাম রাব্বানী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দফতরের অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি ড: সুব্রত গুপ্ত সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।

মূলত, এই অর্কিড গার্ডেনটিতে দুই ভাগে কাজ করা হবে। একটি প্রদর্শন ও বিক্রয়। অন্যটিতে প্রোডাকশন। আপাতত ৮৫ টি বিভিন্ন প্রজাতির অর্কিড দিয়ে শুরু করা হলেও আগামীতে প্রজাতির সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। একইভাবে বেশ কয়েক গাছের টিশু কালচার করে ব্যাপক হারে উৎপাদন বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে অর্কিড চাষে উৎসাহ দেওয়া হবে।

উত্তরবঙ্গের ফুলের বাজারগুলিতে চিরাচরিত ফুলের পাশাপাশি অর্কিড ফুলের চাহিদা রয়েছে। ফুলপ্রেমী মানুষদের মধ্যে অনেকেই অর্কিড পছন্দ করেন। তবে উৎপাদন কম থাকার কারণে সবসময় ওই ফুল নাগালের বাইরে থাকে। তাই এবার অর্কিডের উৎপাদন বাড়াতেই এই উদ্যোগ।

মন্ত্রী গোলাম রাব্বানী জানান, “উত্তরবঙ্গে হর্টি কালচারের সম্ভাবনা আছে। যে কারণে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই ধরনের প্রজেক্ট নেওয়া হচ্ছে। এর আগে শিঙ্কনার উৎপাদন বাড়াতে টিশু কালচারের প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ড্রাগন ফ্রুট ছাড়াও স্ট্রবেরি এখানে তৈরি করা হয়েছে। এবার অর্কিডে বড় প্রজেক্ট শুরু হল। আশা করা যাচ্ছে অর্কিড চাষে সাফল্য আসবে।” অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি ড: সুব্রত গুপ্ত জানান, “এই বাগানটির একদিকে থাকবে অর্কিড গাছ এবং ফুল পরদর্শনের ব্যবস্থা। অর্কিড প্রেমী, পর্যটক এবং সাধারণ মানুষ তা দেখতে পাবেন। সেখান থেকে তারা চারা যেমন কিনতেও পারবেন পাশাপাশি অর্কিড চাষের ধারনা নিতে পারবেন।” অপরদিকে, এই প্রজেক্টের অপর সহযোগি উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে ভারতে অর্কিড আনতে ১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

জানা গিয়েছে, বর্তমানে এখানে ৮৫ প্রজাতির অর্কিড থাইল্যান্ড থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। আগামীতে আরও চারা নিয়ে আসা হবে। প্রয়োজনে থাইল্যান্ড ছাড়া নেদারল্যান্ড থেকেও চারা আনা হবে।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours