রাহুল বনাম ঈশান কি চলবে? চোট সারিয়ে টিমের ফিরতে চলেছেন রাহুল। এশিয়া কাপে খেলবেনও। কিন্তু দারুণ কিছু করতে না পারলে কিন্তু গম্ভীরের মতো সমালোচকরা ঈশান-বিতর্ক আবার তুলে দেবেন।


পাল্লেকেলে: লোকেশ রাহুলকে (KL Rahul) নিয়ে দ্বিধা বিভক্ত ভারতের দুই প্রাক্তন। বাগযুদ্ধ না হলেও উত্তপ্ত কম ছিল না পরিস্থিতি। এশিয়া কাপে (Asia Cup 2023) ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) ম্যাচ বৃষ্টিতে ধুয়ে গিয়েছে। কিন্তু মিডল অর্ডারে ভারতীয় টিম এখন এক নতুন বিকল্প পেয়ে গিয়েছে। শ্রেয়স আইয়ার, লোকেশ রাহুলের পাশপাশি ঈশান কিষাণকেও ভাবনায় যে রাখা যেতে পারে, সময় মতো ব্যবহার করা যেতে পারে, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে। ৮১ বলে ৮২ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেছেন। পরিণত বোধ দেখিয়েছেন। টিম যখথন চাপে, তখন ঠান্ডা মাথায় হার্দিক পান্ডিয়াকে সঙ্গী করে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন টিমকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ধরলে টানা চারটে হাফসেঞ্চুরি করলেন ঈশান। বিশ্বকাপে (World Cup 2023) ফর্মে থাকা ঈশানকে কেন খেলানো হবে না, সেই প্রশ্নও তুলে দিলেন এক প্রাক্তন। লোকেশ রাহুলকে নিয়ে কোন দুই প্রাক্তনের মধ্যে হয়ে গেল বাগযুদ্ধ? এর এই প্রতিবেদনে বিস্তারিত।


ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে কমেন্ট্রি বক্সে ছিলেন প্রাক্তন দুই ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর ও মহম্মদ কাইফ। বিশ্বকাপেও কি ফর্মে থাকা ঈশানকে খেলানো উচিত, এই প্রশ্নে দুই মেরুতে দাঁড়িয়েছেন দু’জন। কাইফ বলেছেন, ‘লোকেশ রাহুল প্রতিষ্ঠিত ম্যাচ উইনার। পাঁচ নম্বরে নেমে ও চমৎকার পারফর্ম করেছে। কোচ রাহুল দ্রাবিড় জানেন এটা। কী করা উচিত, উনি খুব ভালোই বোঝেন। মাথায় রাখতে হবে, মহম্মদ সামিকে পাকিস্তান ম্যাচে খেলানো হয়নি। লোকেশ রাহুল ফিট হয়ে টিমে ফিরলে ওকেই প্রথম একাদশে খেলানো হবে। ঈশানকে অপেক্ষা করতে হবে পরের সুযোগের জন্য। এটা মানতে কোনও দ্বিধা নেই, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে দারুণ খেলছে ঈশান। যখন যেটা দরকার ঠিক করছে। ওর গ্রাফ উঠছে। রোজ উন্নতি করছে। ডাবল সেঞ্চুরিও করেছে এর আগে। ক্লাস আর প্রতিভা দুইই রয়েছে ওর। তার মানে এই নয় যে, চোট কিংবা খারাপ ফর্মের জন্য না খেলা রাহুলের বিকল্প হয়ে উঠেছে ঈশান।’

কাইফের যুক্তি কোনও ভাবেই মানতে পারছেন না গম্ভীর। তাঁর পাল্টা যুক্তি, ‘বিশ্বকাপ জিততে হলে কী দরকার? নাম নাকি ফর্ম? রোহিত কিংবা বিরাট কি টানা চারটে হাফসেঞ্চুরি করেছে? লোকেশ রাহুলের ক্ষেত্রেও যদি একই ঘটনা ঘটত, তখনও কি একই কথা বলা হত? যখন বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হতে হয়, তখন নামের দিকে তাকানো উচিত নয়। ফর্মে থাকা ক্রিকেটারদের টিমে নিতে হয় ট্রফি জেতার জন্য।’


বিশ্বকাপের আগে ভারতের সবচেয়ে দুর্বলতম জায়গা হল মিডল অর্ডার। শ্রেয়স পাকিস্তান ম্যাচে চার নম্বরে ব্যর্থ। ঈশানের মতো নতুন মুখ কিন্তু পাল্টা লড়াই করেছেন। গম্ভীরের মন্তব্য, ‘সামনের সারিতে থাকার জন্য যা যা করার দরকার, তাই কিন্তু করেছে ঈশান। আমরা এই নিয়ে তর্ক করছি কারণ, রাহুলের মতো অনেক বেশি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ওর নেই। এমন অনেক প্লেয়ার কিন্তু আছে, চোটের কারণে তারা টিমে জায়গা হারিয়েছে অতীতে। কারণ, তাদের বদলে যারা টিমে এসেছে, দুরন্ত পারফর্ম করে দিয়েছে। এটাই বাস্তব সত্যি। মানছি, পাঁচ নম্বরে রাহুল প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার। ঈশান এর আগে এই জায়গায় ব্যাট করেনি। কিন্তু এটাও মানতে হবে যে, পাকিস্তান ম্যাচে চাপের মধ্যেও ও চমৎকার খেলেছে।’

রাহুল বনাম ঈশান কি চলবে? চোট সারিয়ে টিমের ফিরতে চলেছেন রাহুল। এশিয়া কাপে খেলবেনও। কিন্তু দারুণ কিছু করতে না পারলে কিন্তু গম্ভীরের মতো সমালোচকরা ঈশান-বিতর্ক আবার তুলে দেবেন।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours