বিধানসভা চলাকালীন কোন কোন বিধায়ক বিধানসভায় অনুপস্থিত থাকছেন, সেই তালিকা এবার যাবে তৃণমূলের সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে। সাত দিন অন্তর এই তালিকা পাঠানো বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক তথা পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এদিন সে কথা জানালেন।
কলকাতা: বিধানসভায় শাসক দলের মন্ত্রী ও বিধায়কদের উপস্থিতি নিয়ে এবার আরও কড়াকড়ি তৃণমূলের অন্দরে। বিধানসভা চলাকালীন কোন কোন বিধায়ক বিধানসভায় অনুপস্থিত থাকছেন, সেই তালিকা এবার যাবে তৃণমূলের সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে। সাত দিন অন্তর এই তালিকা পাঠানো বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক তথা পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এদিন সে কথা জানালেন। এবার থেকে শাসক দলের প্রত্যেক মন্ত্রীকে বিধানসভায় এসে দলের হাজিরা খাতায় সই করতে হবে, সেটি রাখা থাকবে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেবের ঘরে। আর দলের বাকি বিধায়কদের জন্য হাজিরা খাতা রাখা থাকবে বিধানসভায় দলের মুখ্য সচেতকের ঘরে।
বিধানসভায় কার্যপ্রণালীর জন্য আগে থেকেই একটি হাজিরার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এর সঙ্গে বিধানসভার সেই হাজিরার কোনও যোগ নেই, এটি তৃণমূলের নিজস্ব হাজিরা খাতা। দলের বিধায়ক ও মন্ত্রীরা কখন আসছেন, কখন যাচ্ছেন… সেই হিসেব এবার থেকে আরও কড়াভাবে রাখবে তৃণমূল। আর সাপ্তাহিক গরহাজিরার তালিকা সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হবে দলনেত্রীর কাছে। সূত্রের খবর, অনুপস্থিত বিধায়কদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে শাসক দল।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই তৃণমূলের তরফে পরিষদীয় দলের জন্য একটি পৃথক শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন বর্ষীয়ান বিধায়ক তথা পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বুধবার সেই পরিষদীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি বৈঠকে বসেছিল। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, ‘মানুষ জনপ্রতিনিধিদের বেছে বিধানসভায় পাঠান, তাঁদের কথা বিধানসভায় বলার জন্য। সেখানে যদি দেখা যায়, কোনও বিধায়ক বিধানসভামুখোই হন না… এসে সই করে চলে যান। কোনও আলোচনায় থাকেন না। ভোটাভুটির সময় থাকেন না। এটা অন্যায়, অন্যায্য ও দলবিরোধী কাজ।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours