মোহনবাগান ফাইনালে ওঠার পর ইস্টবেঙ্গল সাংবাদিক সম্মেলনে জানায়, ডুরান্ডে একটি বিশেষ ক্লাবকে সুবিধে পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা অবশ্য মোহনবাগানের নাম নেয়নি। এই পরিস্থিতিতে ডার্বির আগের প্রেস কনফারেন্সে দুই প্রধানের হেড কোচকে রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এ বার দেখার ডুরান্ড ফাইনালে কোনও দল আবার রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তোলে কিনা।

Durand Cup, Kolkata Derby: ডার্বির আগে রেফারি বিতর্কে 'ধরি মাছ না ছুঁই পানি' দুই কোচের
ডার্বির আগে রেফারি বিতর্কে 'ধরি মাছ না ছুঁই পানি' দুই কোচের

রাত পোহালেই রবিবাসরীয় কলকাতা ডার্বি। ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) ফাইনালে মরসুমের দ্বিতীয় ডার্বি হতে চলেছে। কলকাতা ডার্বির আগে রেফারিং বিতর্ক নিয়ে দুই প্রধানের দুই কোচের গলায় আলাদা সুর। নিয়ম অনুযায়ী রেফারিকে কোনও ফুটবলার, কোচ অপমানজনক কিছু বলতে পারেন না। এতে নিয়ম লঙ্ঘন হয়। চলতি ডুরান্ডে রেফারিং নিয়ে এই বিতর্কের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) বিরুদ্ধে ম্যাচ হারার পর নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কোচ জুয়ান পেদ্রো বেনালি মন্তব্য করেছিলেন যে, ‘ভারতীয় ফুটবলে এমন অনেক কিছু হয়, যা আমরা আটকাতে পারি না।’ তাঁরও ইঙ্গিত ছিল রেফারিং নিয়ে। কিন্তু তিনি সরাসরি কিছু বলেননি। কিন্তু মোহনবাগানের (Mohun Bagan) বিরুদ্ধে হারার পর এফসি গোয়ার কোচ মানোলো মার্কুয়েজ অবশ্য আর রেফারিং নিয়ে মতামত চেপে রাখতে পারেননি। এ বার ডুরান্ড ফাইনালে ডার্বির আগে রেফারিং নিয়ে ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের কোচের। বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।


ডার্বির আগে আকারে ইঙ্গিতে কার্লেস বোঝাতে চাইলেন, বিদেশি রেফারি এলে ভালো হত। কিন্তু একটা ম্যাচের জন্য বিদেশি রেফারি এসে খুব একটা পার্থক্য গড়ে দেবেন তা তো নয়। তাই কার্লেস ডুরান্ড কাপের রেফারিং নিয়ে বলেন, ‘আমি শুনেছি অনেক বিতর্ক হচ্ছে। তবে রেফারি নিয়ে বলাটা ঠিক হবে না। আইএসএলে হয়তো বিদেশি রেফারি আসে। কিন্তু এখানে বাজেটের ব্যাপার আছে। তাও দেখা যাক। অন্য জায়গা থেকে রেফালি এলে ভালো। তবে বিদেশি রেফারিরা বাইরে থেকে এসে চট করে এখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন না। এখানকার চাপটা দেশীয় রেফারিরা ভালোভাবে সামলাতে পারেন।’

অন্যদিকে বাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো ডুরান্ড কাপের রেফারিং নিয়ে বলেন, ‘রেফারি আমার হাতে নয়। এটা নিয়ে কী বলব? বিদেশি রেফারি নিয়ে যদি বলেন, তা হলে তো দেশীয় রেফারিদের উন্নতি হবে না। ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি করতে হলে, দেশিয় রেফারিদেরও উন্নতির প্রয়োজন। সেটাও তো খুব গুরত্বপূর্ণ। তবে আমার ফোকাস আমার দলের ওপর থাকছে। ম্যাচের দিকে নজর।’


মোহনবাগান-গোয়া ম্যাচের পর গোয়ার কোচ মানোলো মার্কুয়েজ বলেই ফেলেন, ‘রেফারিং নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। এটাই ভারতীয় ফুটবল। ভারতে প্রথম কোচিং করাচ্ছি না। এর সঙ্গে আমরা পরিচিত। এ আর নতুন কী! পুরোটাই যেন স্বাভাবিক ঘটনা। শুধু এই ম্যাচ কেন, আইএসএল ফাইনালেও বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে সুবিধা পেয়েছিল মোহনবাগান।’ আসলে গোয়ার বিরুদ্ধে মোহনবাগান একটা পেনাল্টি পেয়েছিল। যাতে বাগান শিবির সমতায় ফেরে। নিয়ম অনুযায়ী তা পেনাল্টি ছিল না। ফ্রি-কিক হয়। গোয়া ডিফেন্ডার জয় গুপ্ত ট্যাকল করেছিলেন মোহনবাগানের আশিক কুরুনিয়ানকে। ট্যাকলের পয়েন্ট বক্সের বাইরে এবং আশিক পড়েন ভেতরে। এর ফলে পেনাল্টি না ফ্রি-কিক, দেওয়া হবে তা নিয়ে চলে নাটক। রেফারি তাতে পেনাল্টি দেন। এরপর বিশ্বকাপার জেসন কামিন্স স্পটকিক থেকে গোল করে মোহনবাগাকে সমতায় ফেরান। পরে আর্মান্দো সাদিকুর গোলে জেতে মোহনবাগান।

মুম্বই সিটি ম্যাচে অভিযোগ উঠেছিল মোহনবাগানের ফুটবলার হ্যান্ডবল করেছিলেন। কিন্তু রেফারি তেমন কোনও সিদ্ধান্ত জানননি। এড়িয়ে যান। মোহনবাগান ফাইনালে ওঠার পর ইস্টবেঙ্গল সাংবাদিক সম্মেলনে জানায়, ডুরান্ডে একটি বিশেষ ক্লাবকে সুবিধে পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা অবশ্য মোহনবাগানের নাম নেয়নি। এই পরিস্থিতিতে ডার্বির আগের প্রেস কনফারেন্সে দুই প্রধানের হেড কোচকে রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এ বার দেখার ডুরান্ড ফাইনালে কোনও দল আবার রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তোলে কিনা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours