ভারী বৃষ্টির জেরে নামখানায় বেশ কয়েকটি নদী বাঁধের অবস্থা বেহাল হয়ে গিয়েছিল।গত দুদিন ভারী বৃষ্টির জেরে নামখানা ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি নদী বাঁধের অবস্থা খারাপ হয়েছে। 

যার জেরে আতঙ্কের মধ্যে উপকূলীয় এলাকার মানুষজনেরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দফায় দফায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি রাতেও উপকূলীয় এলাকায় ভারি বৃষ্টি হয়েছে। একদিকে অমাবস্যার ভরা কোটাল, অন্যদিকে নিম্নচাপ। জোড়া ফলায় নদী ও সমুদ্রে প্রবল ভাবে জল বাড়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সুন্দরবনের বেহাল কাঁচা নদী বাঁধ ও সমুদ্র বাঁধ। নদী বাঁধের পাশে বসবাসকারী মানুষজনেরা এই মুহূর্তে আতঙ্কিত। নামখানা ব্লকের অন্তর্গত পাতিবুনিয়া, হরিপুর, ইশ্বরীপুর, নারায়নপুর, দেবনগর, ফ্রেজারগঞ্জ ও মৌসুনি দ্বীপের নদীবাঁধের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়েছে।প্রতিটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বারে বারে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় এই সমস্ত এলাকার মানুষজনদের।বিগত বছরগুলিতে একাধিকবার ভিটে মাটি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন এই সমস্ত উপকূলীয় এলাকার মানুষজনেরা। এই খারাপ পরিস্থিতিতে স্থানীয় মানুষজন প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।



 যদিও এ বিষয় নিয়ে গঙ্গাসাগর বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শ্রীমন্ত কুমার মালি বলেন, নদী বাঁধগুলি মেরামতের জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই বাঁধের কাজ শুরু হবে।



সুন্দরবনের নদীবাঁধের সমস্যা আজ নয়। বিশেষ করে নামখানা ব্লকের বেশ কয়েকটি জায়গা এবং সাগরের বেশ কয়েকটি জায়গার নদী বাঁধের অবস্থা ভয়াবহ। সাধারণ মানুষ বারবার পাকাপোক্ত নদী বাঁধের দাবি জানালেও বেশিরভাগ নদী নদী বাঁধের অবস্থা বেহাল। এখন দেখার সাধারণ মানুষের দাবি মত কত দিনে এই সমস্ত নদী বাঁধগুলি স্থায়ীভাবে হয়।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours