কোটি কোটি টাকা খরচ করে চলছে গবেষণা। যুদ্ধ হলে শত্রু দেশের হাওয়ায় মিশিয়ে দেওয়া হতে পারে মারণ ভাইরাস। নিমেষে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বহু মানুষ। তাই সাবধান হওয়ার সময় এসেছে।
কলকাতা: যুদ্ধ মানেই বোমা-বন্দুক, বারুদের গন্ধ, এমন ছবিই ভাসে চোখের সামনে। কিন্তু ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার উপায় যেমন রয়েছে, তা আটকানোর অত্যাধুনিক উপায়ও রয়েছে বিপক্ষের হাতে। তাই সেই চেনা ছবির দিন হয়ত শেষ! বিশেষজ্ঞদের অনুমান, অদূর ভবিষ্যতে একাধিক দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধলে লড়াই হবে নিঃশব্দে। কোনও বিস্ফোরণের শব্দ ছাড়াই পড়ে থাকবে লাশের পর লাশ। কারণ কার্তুজ বানানোর বদলে ল্যাবরেটরিতে ভাইরাস বানানোয় মন দিয়েছে একাধিক দেশ, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যদি কখনও কলকাতা তেমন পরিস্থিতির শিকার হয়, তাহলে বাঁচবেন তো? গবেষকরা বলছেন কলকাতা শহরের অলিগ-গলিতেই নাকি রয়েছে বাঁচার উপায়।
হাওয়ায় মিশতে পারে মারণ ভাইরাস
আগে বুঝে নেওয়া যাক, জৈব অস্ত্র বা জীবাণু যুদ্ধটা আসলে কী? প্রায় দেড় হাজার খ্রিষ্ট পূর্বাব্দে শত্রুদের শিবিরে অসুস্থ ভেড়া পাঠিয়ে দেওয়া হত বলে শোনা যায়। জৈব অস্ত্র প্রয়োগের সেই শুরু। তারপর চিন-জাপান যুদ্ধের সময় জাপান সেনা চিনের বহু জলের উৎসে কলেরা ও টাইফয়েডের জীবাণু মিশিয়ে দিয়েছিল। সেই অস্ত্রে নাকি ক্রমশ শান দিচ্ছেন তাবড় দেশগুলি। কোটি কোটি টাকা খরচ করে চলছে গবেষণা। যুদ্ধ হলে শত্রু দেশের হাওয়ায় মিশিয়ে দেওয়া হতে পারে মারণ ভাইরাস। নিমেষে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বহু মানুষ। তাই সাবধান হওয়ার সময় এসেছে।
কলকাতার পুরনো বাড়িই হবে ঢাল!
গবেষকরা বলছেন, কলকাতা শহরের পুরনো বাড়িগুলোই নাকি জব্দ করতে পারে জীবাণুকে। উত্তর কলকাতার গলিতে ঢুকতে দু পাশে যে সব বাড়ি ৬০-৭০ বছর বা তারও আগের কথা বলে, সেগুলিতে নাকি টিকতে পারবে না জীবাণু।
নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অর্ক চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এমন কোনও জীবাণু-যুদ্ধ ঘটলে কলকাতার পুরনো বাড়িগুলিতে বিপদের সম্ভাবনা ৯২ শতাংশ কম। কারণ? ওই বাড়িগুলিতে রয়েছে বড় বড় জানালা, বারান্দা।
জীবাণু আটকাতে কেমন হওয়া উচিত বাড়ি?
গবেষণা বলছে, কোনও ঘরে জমে থাকা বাতাস যদি দিনে ১০ থেকে ১৫ বার সরে গিয়ে নতুন বাতাস প্রবেশ করতে পারে, তাহলে সেখানে জীবাণু জমে থাকার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। একাধিক বড় জানালা ও বড় বারান্দা থাকলে সুবিধা। হাওয়া একদিক দিয়ে ঢুকে অন্যদিক দিয়ে বেরতে পারবে এমন ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। এরও একটা হিসেব আছে। দরজা, জানালা ও ঘুলঘুলির আয়তনের যোগফল হতে হবে ঘরের আয়তনের ২০ শতাংশ। অর্থাৎ যদি ২০০ বর্গফুটের ঘর হয়, তাহলে দরজা, জানালা ও ঘুলঘুলি হতে হবে অন্তত ৪০ বর্গফুটের। নতুন বাড়ি তৈরির সময়েও মাথায় রাখতে হবে এই বিষয়গুলি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, স্লাইডিং জানালার বদলে পাল্লা দেওয়া জানালা বানাতে হবে। ঘরের এসি বন্ধ করে জানালা খুলে রাখতে হবে দিনের বেশ কিছুক্ষণ। জানালার সামনে আসবাব থাকলে তা সরিয়ে দিতে হবে।
আজ থেকে কয়েক দশক আগে এভাবে না ভেবেই হয়ত বানানো হয়েছিল বাড়িগুলি। কিন্তু আজ সেগুলির গুরুত্ব ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। এসি ঘরে থাকা বা অফিসের এসি কেবিনে কাজ করা যে বিপদ ডেকে আনতে পারে, তেমনটাই বলছে গবেষণা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours