নুসরত জাহানকে যখন হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়, সাংসদ তখনই তদন্তকারীদের জানিয়েছিলেন তিনি এখনও সম্পূর্ণ নথি জোগাড় করতে পারেননি। ইডি আধিকারিকরা তখন তাঁকে তাঁর কাছে থাকা নথি নিয়েই দেখা করতে বলেন।
কলকাতা: ফ্ল্যাট প্রতারণা কাণ্ডে আরও সক্রিয় ইডি। সাংসদ নুসরত জাহানের কাছ থেকে আরও নথি তলব করেছে ইডি। অভিযোগ, সম্পূর্ণ নথি জমা দেননি নুসরত জাহান। ২৪ কোটির ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় ইতিমধ্যেই ১২ সেপ্টেম্বর নুসরতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। আগামী সপ্তাহে সেভেন সেন্সেস কোম্পানির আরেক ডিরেক্টর রাকেশ সিংকে তলব করেছে ইডি।
সূত্রের খবর, নুসরত জাহানকে যখন হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়, সাংসদ তখনই তদন্তকারীদের জানিয়েছিলেন তিনি এখনও সম্পূর্ণ নথি জোগাড় করতে পারেননি। ইডি আধিকারিকরা তখন তাঁকে তাঁর কাছে থাকা নথি নিয়েই দেখা করতে বলেন। ওই নথিগুলি দেখার পর তদন্তকারীরা জানান, এই নথি তদন্তের জন্য সম্পূর্ণ নয়। নুসরতের আয় ব্যয়ের হিসাব, ও নুসরতের সঙ্গে তাঁর কোম্পানির যোগসূত্র খুঁজে পেতে আরও তথ্য়ের প্রয়োজন। আর সেই কারণেই বাকি নথি জোগাড় করে দ্রুত ইডি দফতরে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ সেপ্টেম্বর নুসরত জাহানকে তলব করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ২০১৪-১৫ সালে নুসরত যে সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন, সেই ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ব্যাঙ্ক কর্মীদের সঙ্গে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, প্রথমে নুসরত তাঁদের আশ্বস্ত করেছিলেন ২ কামরার ফ্ল্যাট দেবেন। প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি। পরে বলেন, হিডকোর কাছে তিন কামরার ফ্ল্যাট দেবেন। বছর পেরিয়ে সেই প্রতিশ্রুতিও পূরণ হয়নি। এরই মধ্যে নুসরত নিজে পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাট কেনেন। নুসরতের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কের কর্মীরা প্রথমে গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু সে সময়ে পুলিশের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। এরপর আলিপুর আদালতে গিয়ে মামলা ফাইল করেন প্রতারিতরা। সম্প্রতি বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা এই অভিযোগ সামনে আনেন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours