রীতিমতো ট্রেন্ডিং তালিকাতেও এসে গিয়েছে। সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এআইমিম (AIMIM)-এর ২ জন সাংসদ মহিলা সংরক্ষণ বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।
লোকসভায় পাশ হল মহিলা সংরক্ষণ বিল। ৪৫৪ জন সাংসদ এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এই বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন মাত্র ২ জন। এক প্রকার সর্বসম্মতিতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের আমলে লোকসভায় পাশ হল এই বিল। এই বিল পাশের পরই কোন ২ জন সাংসদ এর বিরুদ্ধে ভোট দিলেন তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এক্স (অতীতের টুইটার)-এ 2MP রীতিমতো ট্রেন্ডিং তালিকাতেও এসে গিয়েছে। সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এআইমিম (AIMIM)-এর ২ জন সাংসদ মহিলা সংরক্ষণ বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। তাঁরা হলেন মিম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি এবং ইমতিয়াজ জালিল।
সংসদের বিশেষ অধিবেশনে এই বিল প্রস্তাবিত হয়েছে। লোকসভার অন্দরে বুধবার দিনভর এই বিল নিয়ে আলোচনা চলেছে। শাসক বিজেপি থেকে বিরোধী অনেক দল এই বিল নিয়ে নিজেদের মতামত জানিয়েছে। দুদশকের বেশি সময় ধরে এই বিল পাশ করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু শেষমেশ তা আর হয়ে ওঠেনি। অবশেষে মোদীর সরকারের আমলে রাজ্যসভায়ও এই বিল পাশ হয় কি না, সেটা দেখার। তবে রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, লোকসভায় ২ জন ছাড়া সবাই বিলটি সমর্থন করায়, রাজ্যসভায় তা পাশের ক্ষেত্রে বাধা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের দলগুলিও এই বিলকে সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু লোকসভাতেই এই বিলের বিরোধিতা করেছেন আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। মঙ্গলবার ওয়াইসি জানিয়েছিলেন, মহিলা সংরক্ষণের মধ্যেই ওবিসি, এসসি, এসটি-র কোটা রাখা উচিত। এ বিষয়ে ওয়াইসি বলেছেন, “যাঁদের প্রতিনিধিত্বের জন্য আপনি এই বিল বানিয়েছেন, তাঁদের প্রতিনিধিত্বই নেই। ১৭ লোকসভায় মোট ৮ হাজার ৯৯২ জন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫২০ জন মুসলিম। এই ৫২০ জনের মধ্যে মুসলিম মহিলা নেই বললেই চলে।” এই বিল পাশ হলেও পিছিয়ে থাকা বর্গের মহিলারা কতটা সুযোগ পাবেন, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন এআইমিম প্রধান। সে জন্য এই বিলের কিছু পরিমার্জনের দাবিও তুলেছিলেন। ভোটাভুটির শেষে দেখা গেল এক মাত্র এআইমিমই এই বিলের বিপক্ষে ভোট দিল।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours