নকল সেনার পোশাকের রহস্য উদ্ঘাটনে ইতিমধ্যেই তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। সেই সূত্র ধরে এদিন যাদবপুর থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল রুবি নাইয়া নামে এক মহিলাকে। জানা যাচ্ছে, এই মহিলাকেই ভুল বুঝিয়ে তাঁর থেকে টাকা নিয়ে নকল সেনার পোশাক বানানো হয়েছিল।
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সেনার পোশাক পরে একদল যুবক-যুবতী কী করতে ঢুকেছিল, তা তদন্ত করে দেখছে যাদবপুর থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনায় কাজী সাদেক হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তি নিজেকে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি বলে দাবি করে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নকল সেনা পাঠানোর মাথায় রয়েছেন ওই ব্যক্তিই। নকল সেনার পোশাকের রহস্য উদ্ঘাটনে ইতিমধ্যেই তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। সেই সূত্র ধরে এদিন যাদবপুর থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল রুবি নাইয়া নামে এক মহিলাকে। জানা যাচ্ছে, এই মহিলাকেই ভুল বুঝিয়ে তাঁর থেকে টাকা নিয়ে নকল সেনার পোশাক বানানো হয়েছিল।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ওই মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন কয়েক বছর আগে শিয়ালদহ স্টেশনে ধৃত কাজী সাদেক হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই মহিলার। সাদেক তখন নিজেকে পরিচয় দিয়েছিল এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী হিসেবে। বলেছিল, একটা বাহিনী তৈরি করতে হবে। মানুষের উপকারের জন্য দৌড়ে যেতে হবে। তখন সাদেকের কথাবার্তার ফাঁদে পড়ে যান মহিলা। যুক্ত হয়ে যান সংগঠনের সঙ্গে। এরপর, চম্পাহাটিতে সংগঠনের একটি অফিসও করে সাদেক। সেখানে মাঝে মধ্যেই মানবাধিকার সংগঠনের ব্যানারে বিভিন্ন সচেতনামূলক কর্মসূচির আয়োজন করত। তাতে সাদেক ও তার সংগঠনের প্রতি আরও বিশ্বাস বেড়েছিল মহিলার। মহিলাকে বেশ কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বের সঙ্গে ছবিও দেখিয়েছিল অভিযুক্ত। সেই সব দেখার পর, মহিলাও মনে করেন সাদেক সত্যি সত্যিই মানুষের উপকার করতে চান। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, যে ছবিগুলি দেখানো হয়েছিল, সেগুলি সবই ফেক বলে অনুমান করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এরপর মহিলার থেকে সংগঠনের কাজের জন্য টাকাও চায় সাদেক। মহিলাও মানুষের উপকার করার আশায় ঘরের বেশ কিছু সামগ্রী বিক্রি করে ওই টাকা দিয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। মোট ১৮ হাজার টাকা তিনি দিয়েছিলেন সাদেককে। যার মধ্যে ১০ হাজার টাকা অনলাইনে, বাকি ৮ হাজার টাকা নগদে। এরপর সেই টাকা দিয়ে সেনার নকল পোশাক কেনা হয় বলে জানা যাচ্ছে। গোটা বিষয়টিই করা হয়েছিল একেবারে পরিকল্পনা মাফিক। এরপর চম্পাহাটি এলাকারই বেশ কয়েকজন যুবক-যুবতী, যাঁরা ওই সংগঠনের সঙ্গে আগে থেকে যুক্ত ছিল, তাঁদের যাদবপুর স্টেশনে ডেকে পাঠায় অভিযুক্ত। সেখানেই হয় পোশাক বদল। তারপর নকল সেনার পোশাক পরে চলে যায় যাদবপুরের ক্যাম্পাসে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours