গোসাবায় পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল শুরু হয়ে যায়। আর সেই কোন্দল বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যাওয়ার আগেই একেবারে দাবাং এসডিপিও।

পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে তপ্ত গোসাবা, গন্ডগোল পাকার আগেই দাবাং মুডে SDPOঝামেলা আটকালেন এসডিপিও
বিরোধীরা প্রায়শই অভিযোগ করে পুলিশ শাসকের দলদাসে পরিণত হয়েছে। বিরোধীদের বেলায় পুলিশ রণংদেহি, আর শাসকের বেলায় চোখ বন্ধ। এমন অভিযোগ বিরোধীদের মুখে অহরহ শোনা যায়। তবে আজ ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাসকে দেখা গেল সম্পূর্ণ অন্য ভূমিকায়। গোসাবায় পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল শুরু হয়ে যায়। আর সেই কোন্দল বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যাওয়ার আগেই একেবারে দাবাং এসডিপিও। শাসকের কোন্দল থামাতে গিয়ে চড়-থাপ্পড়, লাঠি… সবই চলল। মঙ্গলবার সেই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল গোসাবার শম্ভুনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পালপুর এলাকা।

মঙ্গলবার শম্ভুনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল। ১৫ আসনের ওই পঞ্চায়েতে এবারের ভোটে ১৩টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। একটি জিতেছে আইএসএফ এবং একটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী। আজ বোর্ড গঠনের সময়ে জয়ী প্রার্থীদের সম্মতিতে পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছেন সুলতা প্রামাণিক। আর উপপ্রধান হয়েছেন বরুণ ওরফে চিত্ত প্রামাণিক। সুলতা আবার উপপ্রধান চিত্ত প্রামাণিকের স্ত্রী। আর এই নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। আপত্তি তোলেন এলাকার তৃণমূল নেতা পরিতোষ হালদার। তিনি এলাকায় চিত্ত প্রামাণিকের বিরোধী গোষ্ঠী বলেই পরিচিত। সেই পরিতোষ হালদারের দাবি, দলের তরফে স্থির হয়েছিল পঞ্চায়েতের জয়ী প্রার্থী পিন্টু দাসকে উপপ্রধান হিসেবে বাছার জন্য। কিন্তু চিত্ত প্রামাণিক সেই সিদ্ধান্ত না মেনে নিজেই উপপ্রধান পদে বসে গিয়েছেন। বিষয়টি দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে বলেও দাবি পরিতোষের।

এদিকে চিত্ত প্রামাণিকের দাবি, বোর্ডের পদ ভোটাভুটির মাধ্যমেই স্থির হয়েছে। এলাকায় পিন্টু দাসের ভাবমূর্তি ভাল নয় বলেও দাবি সদ্য উপপ্রধান হওয়া চিত্ত প্রামাণিকের। পাশাপাশির দলের তরফে পিন্টুকে উপপ্রধান করার বিষয়ে কোনও নির্দেশ তাঁর কাছে ছিল না বলেও দাবি চিত্তর। আর এই নিয়েই চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়ে এলাকায়। আর তখন পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামেন ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস স্বয়ং।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours