পূর্ব লাদাখ সেক্টরের চুসুল-মলডো মিটিং পয়েন্টে হবে বৈঠক। ভারতের তরফে বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন কর্পস কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রশিম বালি। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন আইটিবিপি এবং বিদেশ মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও।

গালওয়ান সংঘর্ষের (Galwan Clash) ক্ষত এখনও দগদগে। ভারতীয় সেনার (Indian Army) সঙ্গে লাল ফৌজের (PLA) সংঘর্ষে ভারতের ২০ জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন, চিনেরও বহু সেনা মারা গিয়েছিল। এরপর থেকেই পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে একাধিকবার বৈঠকে বসেছে ভারত ও চিন। সেনা প্রত্য়াহারও করা হয়েছে অনেকটাই। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আজ ফের একবার মুখোমুখি আলোচনায় বসছে ভারত ও চিন (India-China Corps Commmander Meeting)। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (Line of Actual Control) পরিস্থিতি কীভাবে স্বাভাবিক করা সম্ভব, তা নিয়েই দুই দেশের মধ্যে সেনা স্তরে আলোচনা করা হবে। দুই দিন অবধি এই আলোচনা চলবে বলে সূত্রের খবর।


কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চিনও দ্রুত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ও সামরিক সংঘাতের সমাধান সূত্র খুঁজতে আগ্রহ দেখিয়েছে। তাইওয়ানের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে এমনিই সমস্যায় জর্জরিত চিন। এই পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গেও নতুন করে সংঘাতে জড়াতে চায় না চিন। পাশাপাশি যেভাবে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছে, তাতেও অস্বস্তি বেড়েছে জিনপিংয়ের দেশের। সেই কারণেই চিনের তরফে পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সমস্যা মেটানোর ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালের মে মাসে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ঘিরে ভারত ও চিনের মধ্যে যে সংঘাত শুরু হয়েছিল, তা জুন মাসে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের রূপ নেয়। গালওয়ানের সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান, লাল ফৌজেরও বহু সেনা মারা যায়। এরপর থেকেই সেনা ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনায় বসেছে দুই দেশ। এখনও অবধি ১৮ দফায় বৈঠক হয়েছে। আজ, সোমবার ১৯ তম সেনাস্তরীয় বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত ও চিন।


জানা গিয়েছে, পূর্ব লাদাখ সেক্টরের চুসুল-মলডো মিটিং পয়েন্টে হবে বৈঠক। ভারতের তরফে বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন কর্পস কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রশিম বালি। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন আইটিবিপি এবং বিদেশ মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। এবারের বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় অনুপ্রবেশ এবং বেআইনিভাবে ভূখণ্ড দখলের প্রচেষ্টা। দুই দেশের তরফেই নিয়ন্ত্রণ রেখা ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর নির্মাণ কাজ এবং স্থায়ী সামরিক ছাউনি সরিয়ে নেওয়ার বিষয় আলোচনা হবে।

এবারের বৈঠক কূটনৈতিক দিক থেকেও অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আগামী সপ্তাহেই দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সামিটে মুখোমুখি হতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতে জি-২০ সামিটেরও চূড়ান্ত বৈঠক রয়েছে। তাতেও আমন্ত্রিত চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours