ইউনিফর্মে যেমন পুলিশ থাকছে তেমন সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। যারা দর্শকদের উপরে নজরদারি চালাবে। কেউ বিশৃঙ্খলা বা ঝামেলা তৈরি করার চেষ্টা করলে, তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগামী কাল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হতে চলেছে ডুরান্ড কাপের বড় ম্যাচ। প্রত্যাশিত ভাবেই এই ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। গত মরসুমের নিরিখে পুরোপুরি আলাদা। টানা আটটি ডার্বি জিতে বাড়তি আত্মবিশ্বাসী সবুজ মেরুন শিবির। তেমনই কার্লেস কুয়াদ্রাত কোচ হওয়ার পর থেকে আশায় বুক বাঁধছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাও। সব মিলিয়ে ৬৩ হাজারের বেশি টিকিট ছাড়া হয়েছে। দর্শকদের উত্তেজনা যাতে মাত্রা না ছাড়িয়ে যায়, সে দিকেও বাড়তি নজর পুলিস-প্রশাসনের। এই খেলাকে কেন্দ্র করেই কড়াকড়ি পদক্ষেপ নিয়েছে বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেট। আপনিও কি ডার্বি দেখতে যাচ্ছেন? কী করবেন আর কী করবেন না? সাংবাদিক সম্মেলনে বিধাননগর ডিসিডিডি বিশ্বজিৎ ঘোষ কী বললেন
মরসুমের প্রথম ডার্বি। ডুরান্ড কাপের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। মুখোমুখি মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের নিরাপত্তা এবং যান নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রায় ২ হাজার ৬০০ জন পুলিশ কর্মী থাকবেন। এদের মধ্যে প্রায় ১৮ জন ডিসি এবং অ্যাডিশনাল ডিসি ব়্যাঙ্কের অফিসার থাকবেন।
মোহনবাগান সমর্থকরা ৩এ, ৪ এবং ৫ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকবেন। যারা গাড়ি নিয়ে আসছেন, ক্যানেল সাইড রোডে পার্কিং করার ব্যবস্থা থাকছে।
ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা ১,২ এবং ৩ নাম্বার গেট দিয়ে ঢুকবেন। তাদের জন্য আইএ মার্কেটের কাছে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকছে। অন্যান্য ভিআইপিদের জন্য সুভাষ সরোবর ও মিশ্রা আইল্যান্ডের কাছে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ম্যাচ শুরু বিকেল ৪:৪৫ মিনিট নাগাদ। যুবভারতীর গেট খুলে দেওয়া হবে দুপুর আড়াইটেয়। সমর্থকদের অনুরোধ করা হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের আগে এসে তাঁদের নির্দিষ্ট সিটে বসে যাওয়ার। মোট চারটি ব্লক A,B,C,D প্রত্যেকটি ব্লকে সিনিয়র অফিসাররা থাকবেন, যাঁরা নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবেন। প্রত্যেকটি গেটে সিনিয়র অফিসাররা থাকবেন, তাঁরা নির্দিষ্ট ভাবে চেকিং করে ভেতরে প্রবেশ করতে দেবেন।
কিছু কিছু জিনিস দর্শকদের আনতে বারণ করা হচ্ছে— ব্যানার,পোস্টার,বাজি, দেশলাই। গ্যালারি থেকে মাঠে ছোড়া যায়, এমন জিনিস নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। শুধু মোবাইল ও পার্স নিয়ে প্রবেশ করা যাবে। ছাতা নিয়ে প্রবেশেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। জলের বোতলও নিয়ে যাওয়া যাবে না। নির্দেশিকা থাকার পরও যদি কোনও সমর্থকের কাছে বাজি পাওয়া যায়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট নিয়ে মাঠে ঢোকা বারণ। যুবভারতী স্টেডিয়ামের প্রধান গেটের বাইরে সিসিটিভি লাগানো হচ্ছে। সন্ধেবেলা খেলা শেষ হওয়ার পর যাতে স্টেডিয়ামের বাইরে আলোর কোনও ঘাটতি না থাকে, সেই কারণে আলাদা করে লাইটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইউনিফর্মে যেমন পুলিশ থাকছে, তেমন সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। যারা দর্শকদের উপরে নজরদারি চালাবে। বিশৃঙ্খলা বা ঝামেলা হলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours