প্রতিবেশীরা জানান,ওই যুবকরা নিজেদের মধ্যেই কথাবার্তা বলতো। মাঝেমধ্যে পিঠে ব্যাগ নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যেত। দুটো বাইকও ছিল তাদের।

Dacoity At Gold Shop: এক মাস ধরে কল্যাণীর ভাড়া বাড়িতে থেকে রেইকি! রানাঘাটে সোনার দোকানে ডাকাতিতেও বিহার যোগ
রানাঘাটের ডাকাতিতেও বিহার যোগ

নদিয়া: স্বর্ণগহনা প্রস্তুতকারক ও বিক্রয় সংস্থার রানাঘাটের আউটলেটে ডাকাতির ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা কল্যাণীর বি ব্লকের এগারো নম্বর ওয়ার্ডে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। মাস খানেক আগে ওই বাড়ির দুটো ঘর ভাড়া নিয়ে তারা থাকছিল। কী কাজ করত, তা সম্পর্কে কোনও সম্যক ধারণা কারোর কাছেই ছিল না। প্রতিবেশীরা জানান,ওই যুবকরা নিজেদের মধ্যেই কথাবার্তা বলতো। মাঝেমধ্যে পিঠে ব্যাগ নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যেত। দুটো বাইকও ছিল তাদের।


স্বর্ণগহনা প্রস্তুতকারক ও বিক্রয় সংস্থার রানাঘাটের আউটলেটে যে সময়ে ডাকাতি হয়েছে, তার ঘণ্টা খানেকের ব্যবধানেই পুরুলিয়ার আউটলেটেও ডাকাতি হয়েছে। তদন্তকারীরা বলছেন, এক্ষেত্রে ‘মোডাস অপারেন্ডি’ অর্থাৎ অপরাধের যে ধরন এক। রানাঘাটের ডাকাতিতে যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তারা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা। স্পষ্ট হয়েছে বিহার যোগ। বিহারের হাজিপুরে একটা গ্যাঙ সক্রিয়। এই গ্যাঙ মূলত স্বর্ণ বিপণি সংস্থাগুলোকেই টার্গেট করে। তারা মূলত সোনার দোকানেই ডাকাতি করে। ধৃতরা সেই গ্যাঙেরই সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে। এখানে দাঁড়িয়েই তদন্তকারীরা এটাও মনে করছেন, পুরুলিয়ার ঘটনাও কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।


তদন্তকারীরা বলছেন, এই গ্যাঙগুলো যখন কোনও রাজ্যে তাদের ‘অপারেশন’ চালায়, তখন একাধিক স্বর্ণ বিপণি সংস্থাকে টার্গেট করে। একই সময়ের একাধিক কিংবা এক-দু’সপ্তাহের মধ্যে পরপর দু-তিনটি সোনার দোকানে লুঠ চালিয়ে তারা চম্পট দেয়। সেই ‘মোডাস অপারেন্ডি’ এক্ষেত্রেও কাজ করছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই গ্যাঙ গত কয়েক বছর ধরে এই রাজ্যে সক্রিয়। আপাতত পুরুলিয়ায় সোনার দোকানের ডাকাতিতে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours