এদিকে রাজ্যপাল যখন অকুস্থল ঘুরে দেখে বেরোচ্ছেন, গ্রামেরই একদল মহিলা তাঁকে ঘিরে ধরেন। উগরে দেন একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ। যে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে, অভিযোগ তা কেয়ামত আলি নামে এক ব্যক্তির।
Duttapukur Blast: 'গোটা গ্রামে অবৈধ বাজি কারখানা ভর্তি', রাজ্যপালকে নালিশ নীলগঞ্জের মহিলাদেররাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
উত্তর ২৪ পরগনা: সাত সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ। এরপর চারদিকে শুধুই শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য। কাটা কব্জি, পোড়া পা, ঝলসানো শরীর ছড়িয়ে ছিটিয়ে গ্রামের আনাচে কানাচে। সাতজনের মৃত্যুর খবর এখনও অবধি সামনে এসেছে। রবিবার উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই দত্তপুকুরে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এতগুলো তাজা প্রাণ চলে গেল। আমি এখান থেকে হাসপাতালে যাব। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তারপর বলব।” এরপরই বারাসত জেলা হাসপাতালে পৌঁছন তিনি।
এদিকে রাজ্যপাল যখন অকুস্থল ঘুরে দেখে বেরোচ্ছেন, গ্রামেরই একদল মহিলা তাঁকে ঘিরে ধরেন। উগরে দেন একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ। যে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে, অভিযোগ তা কেয়ামত আলি নামে এক ব্যক্তির। এলাকার মহিলাদের দাবি, শুধু কেয়ামত আলির কারখানা নয়, গ্রামজুড়ে এরকম একাধিক বেআইনি বাজি কারখানা রয়েছে। অভিযোগ, বাজির গোডাউন রয়েছে এবং কার্যত প্রাণ হাতে করে বাস করছেন এলাকার লোকজন।
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। ফলে বাজির ব্যবসার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত নন, তাঁরাও এ গ্রামে নিরাপদ নন বলে দাবি করেন মহিলারা। রবিবারের বিস্ফোরণের পর সেই আশঙ্কা আরও জোরাল হচ্ছে। গ্রামের মহিলারা অনুরোধ করেন, রাজ্যপাল যেন একবার এরকমই একটি গোডাউন বা বেআইনি বাজির গুদাম ঘুরে দেখেন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours