এ দিকে, কাউন্সিলরের স্বামীর দাবি হোটেলের সামনে উনুনের জন্য ড্রেন পরিষ্কারে অসুবিধা হয়। সেই কারণে পুরসভা থেকে উনুন সরিয়ে ফেলতে বলা হয় কিছু দিন আগে।

TMC Councilor Threat: ৫০ হাজার টাকা তোলা না পেয়ে হোটেল ব্যবসায়ীকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাসিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে মারধরের ঘটনা

হুগলি: হোটেল ব্যবসায়ীর কাছে তোলা না পেয়ে তাঁকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে। প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা তোলা চেয়ে না পাওয়ায় ব্য়বসায়ীকে কলার ধরে মারধরের অভিযোগ। যদিও, ঘটনার দায় অস্বীকার তৃণমূল নেতার।


হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রীতা দত্তর স্বামী স্বপন দত্ত। অভিযোগ, বুধবার সন্ধেয় চুঁচুড়া চকবাজারে জগন্নাথ খাঁড়ার হোটেলে চড়াও হন স্বপন। পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে বলেন। ব্যবসায়ী টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে কলার ধরে মারধোর করার অভিযোগ ওঠে। হোটেল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া বলেও অভিযোগ। হোটেলের সিসি ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা পড়েছে।

এ দিকে, কাউন্সিলরের স্বামীর দাবি হোটেলের সামনে উনুনের জন্য ড্রেন পরিষ্কারে অসুবিধা হয়। সেই কারণে পুরসভা থেকে উনুন সরিয়ে ফেলতে বলা হয় কিছু দিন আগে। সেই উনুন না সরানোয় কাউন্সিলরের স্বামী চাপ সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ।


হোটেল ব্যবসায়ী জগন্নাথ খাঁড়া বলেন, “৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের স্বামী আমার কাছে আসেন। বলে নির্দেশ আছে হোটেল ভেঙে সরিয়ে দেওয়ার। আমি বলি আমার কাছে কোনও নির্দেশ আসেনি। পুরসভায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এরপরই সন্ধ্যেবেলায় স্বপন দত্ত এসে আমার হোটেলে চড়াও হন। পঞ্চাশ হাজার টাকা চায়। আমি দিতে অস্বীকার করি। আমাকে মারধর করে হোটেল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। আমি গোটা বিষয়টা ব্যবসায়ী সমিতিকে জানিয়েছি।”

অভিযুক্ত স্বপন দত্ত বলেন, “মহকুমা শাসকের নির্দেশ আছে জবর দখল ভেঙে সরিয়ে দেওয়ার। সেটাই ওকে বলতে গিয়েছিলাম। আমি পঞ্চাশ হাজার টাকা চেয়েছি এ মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। রাস্তার পাশে ড্রেন দখল করে রেখেছে। পুরসভা রাস্তার উপরে দোকানের ছাউনি বেরিয়ে আছে। মহকুমা শাসকের নির্দেশ আছে জবর দখল সরিয়ে দেওয়ার। সেটাই বলতে গিয়েছিলাম। হোটেল ব্যবসায়ীর এই বেআইনি জবর দখলে আমার দলেরই লোক ওকে সাহায্য করছে।”

তৃণমূল কাউন্সিলর রিতা দত্ত বলেন, “চকবাজার এলাকায় কিছু দোকানের সামনে জবর দখল হয়ে থাকায় নিকাশি সমস্যা হচ্ছিল। একটু বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে যাচ্ছিল রাস্তা। তাই ছড়িয়ে দেওয়া হয়। হোটেল ব্যবসায়ীকে বলা হল তিনি শোনেননি। উল্টে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার অভিযোগ করছে।”

চকবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মদনমোহন পাল বলেন, “চকবাজারে ব্যবসা করে কত টাকা আয় হয় যে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে হবে। ৫০-১০০ হলে ঠিক আছে। আর জন প্রতিনিধি হয়েছে বলে কি মাথা কিনে নিয়েছে নাকি? বলছে হোটেল বন্ধ করে দেবে। ৭০ বছরের ব্যবসা কি করে বন্ধ করবে?”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours