বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে দেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে এলাকায়। দিন যত গড়াচ্ছে উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক দেহাংশ।
Barasat Blast: 'কাপড় কাচছিলাম, হঠাৎ হাতের কব্জি এসে পড়ল, ভাবুন কী অবস্থা হয়', ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা শোনালেন এলাকাবাসীএই ব্যক্তির বাড়িতেই এসে পড়ছে হাত
বারাসত: এগরার বিস্ফোরণের কথা মনে পড়ে? সেখানে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে নিকটবর্তী পুকুরে ছিটকে পড়েছিল দেহ। সেই ঘটনার তিন মাস কাটতে না কাটতেই ফের বিস্ফোরণ বারাসতের দত্তপুকুরে। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে দেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে এলাকায়। সময় যত গড়াচ্ছে উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক দেহাংশ।
জানা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের জেরে কাটা হাত ছিটকে গিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় পাঁচটি বাড়ি পর ওই কাটা হাতটি উদ্ধার হয়েছে। যে বাড়িতে ঘটনাটি হাতটি এসে পড়ে সেই সময় বাড়ি মালিক ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তখন হঠাৎ করে তাঁর পায়ের কাছে কব্জি এসে পড়ে। এক কথায় পিলে চমকে ওঠার জোগাড় হয় তাঁর। যে বাড়িতে হাতটি এসে পড়ে সেই ব্যক্তি বললেন, “আমরা স্ত্রী রান্না করছিলাম। হঠাৎ করে হাতের কব্জি এসে পড়ল পাশে। ভাবুন কী অবস্থা হয় আমাদের।”
শুধু তাই নয়, দেহ উদ্ধার হয়েছে কারোর বাড়ির ছাদ থেকে, কারোর বাড়ির বাগানের পেয়ারা গাছ থেকে, কোথাও আবার টালির চাল থেকে দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে। রবিবার ছুটির সকালে নীলগঞ্জ যে এভাবে আস্ত মৃত্যুপুরী হয়ে উঠবে তা বোধহয় ক্ষনিক আগেও ঠাউর করে ওঠা যায়নি।
এদিন সকালে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে বারাসতের দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয় সেই বাড়িটি কার্যত ভেঙে ধুলিসাৎ হয়ে যায়। শুধু ওই বাড়ি নয়, আশপাশের বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকী নীচ থেকে যাওয়ার সময় চাঙর ভেঙে গিয়ে মৃত্যুও হয় এক মহিলার।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলছেন, “দীর্ঘদিন থেকে বাজি কারখানা বন্ধের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু, করেনি। আজ তো এই কাণ্ড হয়ে গেল। ৭টা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আর কোথায় কোথায় দেহ পড়ে রয়েছে জানি না। মৃতদের মধ্যে অনেক বাইরের লোকও রয়েছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours