ক্ষোভে মাঝপথেই মিটিং ওয়াক আউট ইস্টবেঙ্গলের। টিকিট বণ্টনে অখুশি হলেও শেষ পর্যন্ত বৈঠকে ছিল মোহনবাগান।

 শনিবার ডুরান্ডের ডার্বির আগেই চড়ল পারদ। নিউ সেক্রেটিয়েট বিল্ডিংয়ে ডুরান্ড কমিটি ও দুই প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী। ডুরান্ড কমিটির টিকিট বণ্টনের সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট দুই প্রধানই। ক্ষোভে মাঝপথেই মিটিং ওয়াক আউট ইস্টবেঙ্গলের। টিকিট বণ্টনে অখুশি হলেও শেষ পর্যন্ত বৈঠকে ছিল মোহনবাগান। গত বছরও ডুরান্ড কমিটির টিকিট বণ্টনের সিদ্ধান্ত ঘিরে আসন্তোষ দেখা দিয়েছিল দুই প্রধানের মধ্যে। শনিবার মরসুমের প্রথম বড় ম্যাচ। ইতিমধ্যেই সেই ডার্বি ঘিরে পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে। সমর্থকদের মধ্যেও ডার্বি ঘিরে তুমুল উৎসাহ। বড় ম্যাচের টিকিট নিয়ে এখনও কোনও বিজ্ঞপ্তিও জারি করেনি ডুরান্ড কমিটি। তবে সেনাবাহিনীর আচরণে রীতিমতো বিরক্ত দুই প্রধান। মোহনবাগান বৈঠকে শেষ পর্যন্ত থাকলেও, মাঝপথেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।


ইস্টবেঙ্গল আর মোহনবাগানকে শুরুতে ৪ হাজার কমপ্লিমেন্টারি টিকিট দেওয়ার কথা বলে ডুরান্ড কমিটি। সেখানেই আপত্তি তোলে ইস্টবেঙ্গল। ৬ হাজার টিকিটের দাবি করে ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানও ডুরান্ড কমিটির সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে। শনিবারের মেগা ডার্বিতে দুই প্রধানের সদস্যদের জন্য ফ্রী টিকিটের ব্যবস্থা করেনি ডুরান্ড কমিটি। এতেই আপত্তি তোলে ইস্টবেঙ্গল।

ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর সাফ হুঙ্কার, ‘সদস্যদের টিকিট না পেলে আমরা কেউ মাঠে যাব না। গত বছর ৪ হাজার কমপ্লিমেন্টারি টিকিট দিয়েছিল। এ বারও সেই পরিমাণ টিকিটই দেবে বলেছে। এতেই আমাদের আপত্তি। আমরা ৬ হাজার টিকিট চেয়েছিলাম।’ এরই সঙ্গে যোগ করে ইস্টবেঙ্গল কর্তা বলেন, ‘আমরা কিছু প্রাইস টিকিটও চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই টিকিট অবিক্রিত থাকলে, ২৪ ঘণ্টা আগে তা ডুরান্ড কমিটিকে ফেরত নেওয়ার কথা জানাই। কিন্তু ওদের দাবি, আগে থেকে পুরো টাকা দিয়েই সেই টিকিট কিনে নিতে হবে। অবিক্রিত টিকিটের দায়িত্ব কেন আমরা নিতে যাব? সদস্যরা টিকিট না পেলে আমরা কেউ মাঠে যাব না।’


মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘টিকিট বণ্টন নিয়ে আমরাও অখুশি। তবে ক্রীড়ামন্ত্রীর সামনে ওভাবে মিটিং ওয়াক আউট করা মোটেই শোভনীয় নয়। তাই আমরা শেষ পর্যন্ত মিটিংয়ে ছিলাম।’

চাপের মুখে অবশেষে দুই ক্লাবকে ৫ হাজার করে টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত ডুরান্ড কমিটির। আইএফএ-কে ৫০০ কমপ্লিমেন্টারি টিকিট দেবে ডুরান্ড। এছাড়া পুলিশ ও প্রশাসনকে কিছু কমপ্লিমেন্টারি টিকিট দেবে। বাকি টিকিট বিক্রি করা হবে। অফলাইনেই ডার্বির টিকিট বিক্রি হবে। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, অনলাইনে টিকিট কাটলেও দর্শকদের সেই টিকিট রিডিম করতে আসতে হয়। এতে সমস্যা আরও বাড়ে। তাই অফলাইনেই ডার্বির টিকিট বিক্রি করার কথা ডুরান্ডকে জানায় পুলিশ। বড় ম্যাচের ৬০ ঘণ্টা আগেই টিকিট বিক্রি শুরু হবে। টিকিটের ন্যুনতম দাম ১০০ টাকা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours