হাইকোর্টের নোটিসে ২৫টির অধিক দোকান ভাঙ্গা পড়তে চলেছে, যার জেরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে রায়দিঘির ব্যবসায়ীরা। 


দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার রায়দিঘি বাজারে সাত নম্বর ওয়ার্ডের ব্রিজের মুখেই প্রায় ২৫টির অধিক দোকান ও বসতবাড়ি কে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে। তারা নাকি সরকারি জায়গা দখল করে এই দোকান ও ঘর করেছিল যা নিয়েই দিলীপ হালদার নামে এক ব্যক্তি হাইকোর্টে আবেদন করে, এরপরই হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় সরকারি জায়গার ওপরে দোকান ও বসতবাড়ি গুলি ভেঙে দেওয়ার জন্য। যে কারণে রবিবার দুপুর দেড়টা থেকে কয়েকশ মানুষ রায়দিঘী বাজার এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে । কান্নায় ভেঙে পড়ে কয়েকশো পরিবার। রাস্তার ওপর বসে করুন আর্তনাদ করতে থাকে মহিলারা। মূলত তাদের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই তারা এই এলাকায় ব্যবসা করে আসছেন। পুনর্বাসনের কোনো রকম ব্যবস্থা না করেই সরকার এমন নির্দেশ দিয়েছেন। যে কারণেই তারা কান্নায় ভেঙে পড়েছে। আগামী দিনে তারা কি খাবে তাও জানে না। এমনকি তাদের দাবি আগে থেকে তাদের কোন কিছুই জানানো হয়নি। হঠাৎ করে কোর্টের পক্ষ থেকে এমন নির্দেশে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কয়েকশো পরিবার। রবিবার দুপুর ১:৩০ মিনিট থেকে থেকে বিক্ষোভ চলার পর বিকেলে সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় রায়দিঘি থানার বিশাল পুলিশ ফোর্স এবং মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ও পি ডব্লিউ ডি অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী প্রায় ২৫ টি দোকানঘর ভেঙ্গে ফেলার জন্য পিডাব্লু দের তরফে নিয়ে আসা হয় জেসিপি গাড়ি। কিন্তুু বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে প্রশাসন। পুলিশের সামনেই রাস্তার ওপরেই শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে শতাধিক বিক্ষোভকারীরা। অবশেষে রায়দিঘী থানার আইসি এবং মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয় বিক্ষোভকারীদের। অবশেষে বিক্ষোভকারীদের কাছে রীতিমতন হার মেনে দোকান উচ্ছেদে আপাতত স্থগিতাদেশ দেয় প্রশাসন। শেষমেষ বিকেল পাঁচটা নাগাদ বিক্ষোভ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। তবে বিক্ষোভকাটিটা জানিয়েছেন আগামী দিনে আইনের মাধ্যমে দোকান উচ্ছেদের এই নির্দেশকে খারিজ করবে তারা।

স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours