ভাঙ্গন কবলিত ঘোড়ামারা দ্বীপের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ টি পরিবারের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার।

সুন্দরবনের বুকে যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা দেয় তখনই সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার সাগর ব্লকের অন্তর্গত ঘোড়ামারা দ্বীপ। এই ঘোড়ামারা দ্বীপের প্রধান সমস্যা নদী বাঁধের ভাঙ্গন। আইলা, বুলবুল, আমফান, ইয়াসের মতন একাধিক ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ঘোড়ামারা দ্বীপ। নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বিঘের পর বিঘে চাষের জমি এবং বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি। আফফান ঘূর্ণিঝড় এবং ইয়াসের প্রবল বন্যায় ঘোড়ামারা দ্বীপের ৩০ টি বসত বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। মাথার ছাদ হারিয়ে ওই ৩০ টি পরিবার খোলা আকাশের নিচে জীবন যাপন করছিল। ঘোড়ামারা দ্বীপের সেই ৩০ টি পরিবারের পাশে দাঁড়ালো রাজ্য সরকার। ভাঙ্গন কবলিত ঘোড়ামারা দ্বীপের সেই ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ টি পরিবারের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। ওই দ্বীপের ক্ষতিগ্রস্ত ওই ৩০ টি পরিবারের জন্য গঙ্গাসাগরের দক্ষিণ হারাধনপুরে রাজ্য সরকারের তরফে তৈরি করা হচ্ছে নতুন বসত বাড়ি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় সাগরের দক্ষিণ হারাধনপুরে তৈরি হচ্ছে নবনির্মিত কলোনী যার নামকরণ করা হয়েছে প্রয়াস। দ্বীপের ৩০ টি পরিবারের জন্য পুনর্বাসনের এই প্রকল্পে রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছে প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত এই ৩০ টি পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য ১৮ ই আগস্ট শুক্রবার সাগরের দক্ষিণ হারাধনপুরে নবনির্মিত প্রয়াস কলোনি তৈরির জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সুন্দরবন উন্নয়ন বিষয়ক দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা,সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাগরের বিডিও সুদীপ্তা মন্ডল, সাগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবিনা বিবি, সাগর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি স্বপন কুমার প্রধান,দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য তথা GBDA-এর ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ কুমার পাত্র,সহ অন্যান্যরা ঘোড়ামারা দ্বীপে ৩০ টি পরিবার আবারো নতুন করে ফিরে পাবে মাথার উপর ছাদ। আর তাতেই আনন্দে আপ্লুত ঘোড়ামারা দ্বীপের ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ টি পরিবারের সদস্যরা।

ষ্টাফ রিপোর্টার সৌরভ মন্ডল 

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours